শনিবার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এ পার্কেই অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বৈশাখ উৎসব-১৪২৪’।
দেশের সীমানা পেরিয়ে এ মিলনমেলায় অস্ট্রেলিয়ার নানা জায়গা থেকে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রবাসীরা।
প্রতি বছরের মতো এবারেও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈশাখী মেলা আয়োজনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় ‘বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া’।
এবারের মেলায় প্রায় ২৫ হাজার লোকের সমাগম হয়, যা বাঙালির মেলবন্ধন হিসেবে নতুন ইতিহাস তৈরি করে বলে আয়োজকদের দাবি। বৈশাখ উৎযাপনের পাশাপাশি এবারের অস্ট্রেলিয়ায় মেলার আয়োজনের রজতজয়ন্তী বা ২৫ বছর পূর্তি আরও বর্ণাঢ্য করে তোলে এ আয়োজনকে।
মেলায় যেন আরেক বাংলাদেশকে দেখেছে অস্ট্রেলিয়ানরা । বিখ্যাত অলিম্পিক পার্কের প্রধান এএনজেড অলিম্পিক স্টেডিয়ামের এ আয়োজনে সাড়া দিয়েছিলেন প্রবাসীরা ।
তবে সব কিছু ছাপিয়ে, এবারের আয়োজনের বাড়তি আকর্ষণ ছিল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’, যা প্রথমবারের মতো সংযোজিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকাল ১২টা নাগাদ এ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় । এতে অতিথিসহ বাংলাদেশি প্রবাসীরা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। বেলুন, ফেস্টুন মুখোশসহ বিবিধ শিল্পকর্ম ও কার্টুন নিয়ে হাজির হন শোভাযাত্রার অংশগ্রহণকারিরা।
সাংস্কৃতিক পর্বে, এবছর চোখ ধাঁধানো সব পরিবেশনা নিয়ে হাজির হন শিল্পীরা । গান, একক নৃত্য, দলীয় নৃত্য, আধুনিক গান, নাটক, আবৃত্তি, ফ্যাশন শোসহ বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর আয়োজনে শিশু-কিশোরসহ স্থানীয় বাঙালি শিল্পীরা অংশ নেন।
পথ প্রোডাকশনের নির্দেশনায় ডান্সসহ কয়েকটি আয়োজন করা হয়। অভিনতা আরেফিন শুভ ‘বঙ্গবন্ধু’র ভূমিকায় অনবদ্য অভিনয় করেন। এছাড়া শিল্পী অ্যান্ড্রু কিশোরের সুরেলা গানে শ্রোতারা মেতে উঠেন ।
মেলার আয়োজক বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি শেখ শামীমুল হক জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ায় পয়লা বৈশাখ উদযাপনের ২৫ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো।
এছাড়া মেলাতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রতিনিধিসহ রাজ্যের স্থানীয় এমপিরা উপস্থিত ছিলেন ।
উৎসবের প্রচার সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম প্রধান টেলিভিশন চ্যানেল নাইন।
মেলার স্টলে আশানুরূপ ব্যবসা করেন অংশগ্রহণকারিরা । সবমিলিয়ে এ যেন এক বিশাল মাদুলিদোলা মুগ্ধতার উৎসব ছিলো, যেখানে মানুষ প্রাণের টানে, হৃদয়ের গানে, চেনা বাংলার বন্ধনে আবদ্ধ হন।
দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে উদযাপিত হয়ে আসা এ মেলার গুরুত্বও বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ার মূল প্রশাসনের কাছে।
মেলায় জনসমাগম ক্রমাগত বাড়ার ফলে আগামিতে আরো বড় পরিকল্পনা নিয়ে এগোবেন বলে জানান আয়োজকরা।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |