স্থানীয় সময় রোববার দিনব্যাপী বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নানা আয়োজনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শতাধিক শিশু অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম।
দিনের শুরুতে সকাল সাড়ে ১০টায় উপস্থিত শিশুদের রেজিস্ট্রেশনের পর ১১টায় চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বয়সের ভিত্তিতে শিশুদের ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। ‘ক’ গ্রুপের চিত্রাঙ্কনের বিষয় ছিল ‘বাংলা বর্ণমালা’ আর ‘খ’ গ্রুপের ‘শহীদ মিনারে প্রভাত ফেরী’।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন কিংস বোরো কম্যুনিটি কলেজের আর্ট অধ্যাপক চিত্রশিল্পী জেমি উইলকিনসন, ফাউন্ডেশন ফর আর্ট অ্যান্ড মেমরির পরিচালক চিত্রশিল্পী জ্যাক স্যাল এবং স্থানীয় চিত্রশিল্পী লেইন উইটকম।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি কুইজ অনুষ্ঠানে অংশ নেয় শিশুরা।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে জাতির পিতাকে বছরের প্রতিটি দিনই স্মরণ করতে হবে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। জাতির পিতার জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানানোর অভিপ্রায়ে আজকের সকল আয়োজন শিশুদের ঘিরেই করা হয়েছে।”
দুপুর ২টায় শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল পর্ব - আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ পর্বের শুরুতে জাতির পিতার জীবনাদর্শ তুলে ধরে একটি প্রামাণ্যচিত্র পরিবেশন করা হয়। পরে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো.আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্মের আলোকে যে ২৬টি বই প্রকাশ করেছে, সেগুলো এই মিশনসহ বিশ্বের সকল মিশনের মাধ্যমে প্রবাস প্রজন্মের কাছে বিলি করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় একটি ব্যান্ড দল ‘মাটি’, ‘ম্যানহাটান বাংলা স্কুল’ ও ‘বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতন’-এর শিশু শিল্পীসহ স্থানীয় বাঙালি কমিউনিটি, বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানরা অংশ নেয়।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |