একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে ওই বাহিনীর সম্পৃক্ততার অস্বীকৃতি জানিয়ে ৩০ নভেম্বর ২০১৫ পাকিস্তান সরকারের দেওয়া বক্তব্যর প্রতিবাদে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
শুক্রবার সকালে ‘ক্ষমা চাও পাকিস্তান’ শ্লোগান দিয়ে কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিরা টরন্টোয় পাকিস্তানের কনসুলেট অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলে এই প্রতিবাদ।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পোস্টার এবং ব্যানার নিয়ে টরন্টোর পার্শ্ববর্তী ভন শহরের কিল স্ট্রিটের পাকিস্তান কনস্যুলেট অফিসের সামনে অবস্থান নেয়।
প্রত্যেকের হাতে হাতে ছিলো ১৯৭১ এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী সেনাদের পৈশাচিকতার স্থিরচিত্র এবং ৭১ এর অপকর্মের জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি। এ সময় তারা ‘ক্ষমা চাও পাকিস্তান’ বলে শ্লোগানও দেন ।ব্যস্ততম কর্মদিবসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই কর্মসূচী অন্যান্য কমিউনিটির পথচারীদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
পরে পাকিস্তানের কনসাল জেনারেলের মাধ্যমে পাকিস্তান সরকারের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ফারহানা আজিম শিউলী, টিটু খোন্দকার এবং হাসান ইমাম তপু প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষে পাকিস্তান কনসুলেট অফিসের প্রতিনিধির কাছে স্মারকলিপি তুলে দেন। কনসুলেট অফিসের পক্ষে মোহাম্মদ আশরাফ এই স্মারকলিপি গ্রহন করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, পাকিস্তান সরকার সম্প্রতি ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশটির সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত কর্মকাণ্ড অস্বীকার করে যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে আমরা ক্ষুব্দ।আমরা চাই পাকিস্তান সরকার ৭১ এ দেশটির অপকর্মের দায়দায়িত্ব স্বীকার করে নিয়ে নিঃশর্তভাবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইবে।
স্মারকলিপিতে বাংলাদেশের চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে কোনো ধরনের নাক না গলানোরও দাবি জানানো হয়।
প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা সরাসরি আমাদের জানান। নাম, ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় probash@bdnews24.com