ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও অনধিকার চর্চার প্রতিবাদে ওয়াশিংটন ডিসির পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2015, 11:23 AM
Updated : 4 Dec 2015, 12:00 PM

Also Read: গণহত্যা অস্বীকারের প্রতিবাদে লন্ডনে পাকিস্তান হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ 

Also Read: নিউ ইয়র্কে পাকিস্তান কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ ৮ ডিসেম্বর

Also Read: সৌদি আরবের জেদ্দায় বিজয়ের মাসের প্রথম প্রহরে শহীদ স্মরণ

Also Read: যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি নিউ ইয়র্কে

Also Read: সিডনিতে ‘এসো মেতে উঠি বিজয়ের আনন্দে ’

Also Read: ‘শত চিন্তাবিদের’ তালিকায় শেখ হাসিনা: প্রবাসীদের অভিনন্দন

Also Read: ওয়াশিংটন দূতাবাসে শোক দিবসে আ. লীগের মারামারি

Also Read: নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ‘রবীন্দ্র-নজরুল’

Also Read: ধর্মের নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যের আহ্বান

Also Read: কড়া নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রে ‘থ্যাংকসগিভিং ডে’

Also Read: সাকা-মুজাহিদের ফাঁসিতে টরন্টোতে আনন্দ

Also Read: সাকা-মুজাহিদের ফাঁসিতে ভিয়েনায় উল্লাস

Also Read: সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি: গণসঙ্গীতে যুক্তরাষ্ট্র উদীচীর আনন্দ উদযাপন

Also Read: সাকা-মুজাহিদের ফাঁসিতে নিউ ইয়র্কে উল্লাস

Also Read: টরন্টোতে ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’

৩ ডিসেম্বর বৃহষ্পতিবার ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট নর্থ ওয়েষ্ট স্ট্রিটে  অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার প্রবাসীরা।

সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে বেলা ১টা পর্যন্ত হওয়া এই বিক্ষোভে উপস্থিতরা পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী দেশ এবং মানবতার শক্রু বলে আখ্যায়িত করেন।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে পাকিস্তানের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানানো হয় এই সমোবেশ থেকে।

‘পাকিস্তান নিপাত যাক’, ’পাকিস্তান -শেইম শেই ‘, ‘পাকিস্তান ওয়ার ক্রিমিনাল’, ‘পাকিস্তান রেপিষ্ট’, ‘পাকিস্তান কিলার’- ইত্যাদি শ্লোগান দেয়া হয়।

উপস্থিতরা বলেন, যত ষড়যন্ত্র হোক না কেনো বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার হবেই। কারণ, এ বিচারের পক্ষে বাংলাদেশিরা আজ ঐক্যবদ্ধ।

তারার আরও বলেন, ৪৪ বছর পেরিয়ে গেলেও একাত্তরের পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে পারেনি পাকিস্তান। এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে বদ্ধপরিকর।

বিক্ষোভ থেকে পাকিস্তানকে বক্তব্য প্রত্যাহারের পাশাপাশি ৭১ এর যুদ্ধাপরাধের জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়ে পাকিস্তান দূতবাসের মাধ্যমে দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়। স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন দূতাবাসের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আইয়ুব খান। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ফারুক হোসাইনও সেখানে ছিলেন।

সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন আলাউদ্দীন আহমেদ, রফিক পারভেজ, দস্তগীর জাহাঙ্গীর, তালুকদার শামসুজ্জোহা ডন, মীর রফিকুল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ সেলিম, জিআই রাসেল, আবুল হাশেম শিকদার, হারুন চৌধুরী, শফিউল আলম, মনির পাটোয়ারী, আকতার হোসাইন, ওসমান খান মুন্সী, আবুল মনসুর খান এবং আরশাদ আলী বিজয়।

একই দাবিতে ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে নিউ ইয়র্কে পাকিস্তানী কনসুলেটের সামনে প্রবাসীরা বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই কর্মসূচির সমর্থনে ২ ডিসেম্বর বুধবার  সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলন হয়। আয়োজকদের পক্ষে এতে সর্বশেষ পরিস্থিতির আলোকে বক্তব্য রাখেন ড. প্রদীপ কর, মোর্শেদা জামান, সরাফ সরকার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, দুই যুদ্ধাপরাধী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলি আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে পাকিস্তানের ‘নির্লজ্জ হস্তক্ষেপে’ ঢাকা ‘কড়া প্রতিবাদ’ জানানোর এক সপ্তাহ পর গত সোমবার পাকিস্তানে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনারকে তলব করে ইসলামাবাদ। এর আগেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতাদের সাজা নিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা সরাসরি আমাদের জানান। নাম, ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায়  probash@bdnews24.com