‘প্রবাসী নাগরিক সমাজ’র ব্যানারে স্থানীয় সময় রোববার রাতে নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে একটি টিউটোরিয়াল সেন্টারের মিলনায়তনে এ সমাবেশ হয়।
প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মুহম্মদ উল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন কম্যুনিটি অ্যাক্টিভিস্ট রাজিব আহসান।
ঢাকা ও বগুড়ায় শিয়াদের ওপর হামলা এবং প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মানুষের রুখে দাঁড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন সৈয়দ মুহম্মদ উল্লাহ।
তিনি বলেন, “সন্ত্রাসী হামলার সাথে মুসলমানদের সম্পৃক্ততা উদঘাটিত হয়েছে বলে সর্বত্র প্রচারিত হচ্ছে। যদিও সত্যিকার অর্থে যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী, তারা কখনও এহেন জঘন্য হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হতে পারেন না।
“ওরা ধর্মকে অপকর্মের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তাই প্রতিটি মসজিদ থেকে আহ্বান আসার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে যে, এহেন সন্ত্রাসের সাথে মুসলমানদের কোনো সম্পর্ক নেই।”
‘জেনোসাইড একাত্তর’র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ড. প্রদীপ রঞ্জন কর বলেন,“একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরাও ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এখনও শুরু হয়েছে একই বর্বরতা বাংলাদেশ,প্যারিস,মালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে।
“ওদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে সমস্বরে। বাংলাদেশে জামায়াত-শিবির আর বিএনপির চরমপন্থি লোকজন একাত্তরের ঘাতকদের বিচার ব্যাহত করতেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। ওরা সরকারকে অস্থির রেখে ওই বিচার বন্ধ করতে চায়।”
তিনি বলেন,“বাংলাদেশে যারা অপতৎপরতা চালাচ্ছে তাদের পক্ষে কথা বলছে পাকিস্তানিরা। অর্থাৎ একাত্তরের মদদদাতারাই আবার মাঠে নেমেছে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মত সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করার মতলবে।”
৮ ডিসেম্বর নিউ ইয়র্কে পাকিস্তানি কন্স্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশে প্রবাসীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান প্রদীপ কর।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আলী আহসান কিবরিয়া অনু, মুজাহিদ আনসারী, এম এ মালেক, অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, মাহফুজুর রহমান, সিহাবউদ্দিন কিসলু,তোফাজ্জল হোসেন,মিথুন আহমেদ, নূসরাত চৌধুরী, গোপাল সান্যাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা সরাসরি আমাদের জানান। নাম, ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় probash@bdnews24.com