বঙ্গবন্ধুর এই নাতনি যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টে নিউ হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনে লেবার পার্টির এমপি।
বুধবার সন্ধ্যায় স্বামী ক্রিস পার্সিকে নিয়ে স্থানীয় এক হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে এসে টিউলিপ উৎফুল্ল চিত্তে সাংবাদিকদের খুশির খবরটি জানান বলে লন্ডনের পত্রিকা ক্যামডেন নিউ জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
৩৩ বছর বয়সী টিউলিপ বলেন, “ক্রিস ও আমি বেশ আনন্দিত। এটা অন্য ধরনের লড়াই, কিন্তু আমরা রোমাঞ্চিত।”
মেয়ের নাম কী হবে- তাও ভেবে রেখেছেন টিউলিপ; মায়ের মতোই কোনো ফুলের নাম পাবে সে।
“যেহেতু আমার নাম টিউলিপ, আমরা চিন্তা করেছি, কোনো একটি ফুলের নামে মেয়ের নাম হলে চমৎকার হবে।”
“পার্লামেন্ট যেভাবে কাজ করে তাতে আমার পক্ষে বেশি সময় দেওয়া সম্ভব হবে না। হাউস অব কমন্সে একটি ভালো নার্সারি আছে, আমরা সেটা দেখেছি । যদিও ক্রিস বলেছে, সে তার কাজের ধরন বদলে আমার আশপাশেই থাকবে।”
মা হতে চললেও জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালনে সচেতন টিউলিপ বলেছেন, তিনি ‘মাতৃত্বকালীন ছুটি’ কম কাটানোর চেষ্টা করবেন।
“অনেকেই আমাকে বলেছেন, বাচ্চা নেওয়া এবং দেখভাল করা নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার চেয়ে কঠিন। র্যাচেল রিভসের মতো এমন অনেক নারীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি, যারা এমপি থাকার সময়েই মা হয়েছিলেন। তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।”
২০১৩ সালে রিজেন্ট পার্ক এলাকার কাউন্সিলর থাকার সময় যুক্তরাজ্যের নাগরিক পার্সিকে বিয়ে করেন টিউলিপ। চলতি বছরের মে মাসে সাধারণ নির্বাচনে পার্লামেন্ট সদস্য হন তিনি।
নিজের প্রথম সন্তান নিজের নির্বাচনী এলাকার রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালে হোক, সেটাই চাইছেন টিউলিপ।
“স্থানীয় হাসপাতালে আমার মেয়ের জন্ম হবে, এতে আমি সত্যিই খুশি। এখানকার নার্স এবং ডাক্তাররাও খুব সেবাপরায়ণ।”
টিউলিপকে ‘বেবি অন বোর্ড’ ব্যাজ পরে রাস্তা এবং পার্লামেন্ট এলাকায় হাঁটতে দেখা গেছে এক প্রতিবেদনে বলেছে স্থানীয় ব্রেন্ট অ্যান্ড কিলবার্ন টাইমস।
এ সপ্তাহে নিজের নিউ স্টেটসমেনে প্রকাশিত এক নিবন্ধ নিয়েও টুইটারে মতামত দেন টিউলিপ, যে নিবন্ধটির শিরোনাম ছিল- যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টকে কী করে আরও ‘পরিবারবান্ধব’ করা যায়।
লেবার পার্টির রাজনীতিতে ‘উদীয়মান তারকা’ টিউলিপ সেপ্টেম্বরে সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়া বিষয়ক শ্যাডো মিনিস্টার মাইকেল ডাগারের ব্যক্তিগত সচিবের (পিপিএস) স্থায়ী দায়িত্ব পান।
এছাড়াও তিনি নারী ও সমতা বিষয়ক যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা এখন থেকে সরাসরি আমাদেরকে জানাতে পারেন। পুরো নাম, ঠিকানা ও ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় probash@bdnews24.com