টরেন্টোতে 'সাউন্ড অব ঘুঙরু'  

রবিবার সন্ধ্যায় টরন্টোর ড্যানিয়েলস স্পেকট্রামস মিলনায়তনের অডিটেরিয়ামের ঘুটঘুটে আঁধারকে তাচ্ছিল্য করে নূপুরের শব্দে মাতিয়ে তুলেছিল টরন্টোতে বেড়ে উঠা বাঙালি শিশু ও কিশোরীর একটি দল।

খুরশীদ শাম্মী,  কানাডার টরন্টো থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2015, 03:34 PM
Updated : 10 Oct 2015, 03:36 PM

শুধু তাই নয়, তাল এবং ছন্দে গাঁথা নূপুরের শব্দ উপস্থিত প্রতিটি দর্শকদের হৃদয়ে এনে দিয়েছিলো একটি ভিন্ন এক অনুভূতি।

হয়তো ঠিকমতো কথাও বলতে শেখেনি এমন শিশুরা প্রজাপতি সেজে মঞ্চে পাখা মেলে নেচে গেলো নির্দ্বিধায়। একবিংশ্ব শতাব্দীর কিশোরীরা সাবলীলভাবে নাচলো ষাট এবং সত্তুর দশকের চলচিত্রের গানের সঙ্গে।

তাদের অঙ্গভঙ্গিতে ছিলো না কোন প্রকার জড়তা। রবীন্দ্রসংগীত কিংবা নজরুলগীতি’র কথা এবং সুরে মিশে যেতেও ভুল করেনি তারা। রুমানা চৌধুরীর লেখা ‘আমি নারী’ কবিতাকে মাহিয়া হাবীব রিংকেল এবং তাসনীম আহমেদ অর্ণি, পাকা নৃত্যশিল্পী মিঠুন রেজা’র সংস্পর্শে বর্ণনা করে এক অদ্ভুত নৃত্যাভিনয়ে।

হ্যাঁ, এই শিশু-কিশোরীর দলটিতে ছিলো শিল্পী অরুণা হায়দার পরিচালিত সুকুন্যা নৃত্যাঙ্গনের শিক্ষার্থী ঋষিকা, নবদিতা, প্রিয়ন্তী, ইন্দ্রীমা, পারিসা চৌধুরী, আসমিতা ব্যানারজী, মিষ্টি, রায়না রাকিব, হৃদা রহমান, অবন্তী, লিয়ানা, আপওলা, মন্দিরা চৌধুরী, প্রার্থনা পল, তাসনীম আহমেদ অর্নি, মাহিয়া হাবীব রিংকেল, রচনা খন্দকার, শ্রেয়া সাহা, নাজিয়া হক।

আর এই ক্ষুদে শিল্পীরা এত মনোযোগ দিয়ে পরিবেশনা করছিল তাদের বিদ্যাপীঠ সুকন্যা নৃত্যাঙ্গন আয়োজিত নৃত্যানুষ্ঠান “সাউন্ড অব ঘুঙরু”তে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনা করেন অরুণা হায়দার নিজে এবং অতিথি শিল্পী হিসেবে ছিলেন নৃত্যশিল্পী উমামা নওরোজ ইত্তেলা, মিঠুন রেজা এবং সীমা বড়ূয়া।

এদের পরিবেশনায় ছিল তাল, ছন্দ আর অভিনয়ের এক নিখুঁত সংমিশ্রণ এবং আকর্ষণ। পরিচ্ছন্ন উচ্চাঙ্গ নৃত্য নির্বাচন, মঞ্চসজ্জা, শিল্পীদের পোশাক ও সাজসজ্জা, উপস্থাপিকা রুমানা চৌধুরী, মেরী রাশেদিন এবং রাশিদা মুনিরের এক সুতোয় গাঁথা উপস্থাপনা অনুষ্ঠানকে আরও উপভোগ্য করে তোলে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি আসাদ চৌধুরী। তিনি স্কুলের গ্রজুয়েট শিক্ষার্থী শ্রেয়া সাহাকে মঞ্চে পুরস্কৃত করেন। কবি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতি চর্চাকে প্রশংসা করেন এবং গুরু-শিষ্য সবাকেই আশীর্বাদ দেন।

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত করতালিতে মুখরিত করে উপস্থিত সকলে কবির মতো করেই তাদের সাফল্য কামনা করে।

প্রবাস জীবনের গল্প ও অভিজ্ঞতা এখন থেকে আমাদের সরাসরি জানাতে পারেন। পুরো নাম ও সংশ্লিষ্ট ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায়  probash@bdnews24.com