টরন্টো ছাড়াও অটোয়া, মন্ট্রিয়্যাল, হ্যামিল্টনসহ আশেপাশের শহর থেকে বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবাসী বাঙালি সমবেত হন বীর এই মুক্তিযোদ্ধাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অটোয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশন প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় মারখাম রোডের নাগেট মসজিদে মুক্তিযোদ্ধা ড. জহিরুল ইসলামের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মসজিদের হলওয়েতে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার শবদেহ রাখা হয় সর্বসাধারনের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে দূতাবাসের প্রথম সচিব দেওয়ান মোহাম্মদ ড. জহিরুলের কফিন জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেন। এই সময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার অসামান্য ভূমিকার কথা সঙ্গে স্মরণ করেন।
কর্নেল হুমায়ূন কবীর, বীর বিক্রম প্রয়াত সহযোদ্ধার উদ্দেশ্যে আবেগঘন কন্ঠে বলেন, “১৯৭১ সালে অস্ত্র হাতে নিয়ে লড়াই করে বাংলাদেশ নামের দেশটি সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছিলে। জীবনের প্রয়োজনে ভিনদেশে বসতি গড়লেও আজ আবার নিজের মাতৃভূমিতেই ফিরে যাচ্ছো। তোমাকে বিদায় অভিবাদন, হে রণাঙ্গনের সঙ্গী।”
বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. জহিরুল ইসলাম গত রোববার টরন্টোর একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
ড. জহিরের অন্তিম ইচ্ছা অনুসারে তাকে বাংলাদেশে সমাধিস্থ করা হবে। আগামী শুক্রবার তার মরদেহ বাংলাদেশে পৌঁছার কথা।
প্রবাস জীবনের গল্প ও অভিজ্ঞতা এখন থেকে আমাদের সরাসরি জানাতে পারেন। পুরো নাম ও সংশ্লিষ্ট ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় probash@bdnews24.com