বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব থাকা আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন দলের এই অবস্থানের কথা জানান।
তিনি বলেন, “এর ফলে দুই দেশের অধিকার বঞ্চিত জনগণের দুর্ভোগের অবসান হয়েছে। আমরা এই চুক্তি লোকসভায় পাস করার জন্য ভারত সরকারসহ সে দেশের রাজনৈতিক দল বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূলসহ ভারতবাসীকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।”
“তবে এই চুক্তির ফলে আমরা (বাংলাদেশ) ৫০০ একর জমি হারালাম,” সংবাদ সম্মেলনে এই হিসাবও দিলেন বিএনপি নেতা।
স্থল সীমান্ত চুক্তি ও প্রটোকলের আওতায় ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের মোট ৭ হাজার ১১০ একর আয়তনের ৫১টি এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের মোট ১৭ হাজার ১৬০ একর আয়তনের ১১১টি ছিটমহল বিনিময়ের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশি ছিটমহলগুলোতে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার। আর ভারতীয় ছিটমহলগুলোর জনসংখ্যা ৩৭ হাজারের মতো।
প্রটোকলের আওতায় অপদখলীয় ভূমি নিয়ে বিরোধের অবসানও ঘটবে। এতে ভারত অপদখলীয় ২৭৭৭ একর জমির মালিকানা পাবে। আর ২২৬৭ একর জমির উপর বাংলাদেশের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে।
তবে ছিটমহলবাসীর দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাদের সমস্যার সমাধানের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “আপনারা জানেন দুই দেশের অপদখলীয় ভূমিতে বসবাসকারী মানুষজন মানবেতর জীবন-যাপন করছিল। বিলটি পাসের ফলে বাংলাদেশিরা তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে চলতে পারবে। ভারতীয়রাও তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে চলতে পারবে।”