বাস প্রতীকের এই প্রার্থী মঙ্গলবার রাত ১০টায় এই চিঠি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পাঠানো হয়। এর আগে দুপুরে ভোট গ্রহণের মাঝ পর্যায়ে তিনি বিএনপি সমর্থিত অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
তাবিথের আইনজীবী এহছানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুনঃভোটের দাবি সংক্রান্ত আবেদন সিইসির অফিসে ফ্যাক্স করা হয়েছে।”
ওই আবেদনে বলা হয়েছে, “পক্ষপাতদুষ্ট, প্রহসনমূলক ও অগ্রহণযোগ্য ভোট বাতিল করে উত্তরের মেয়র পদে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক ভোটের জন্য পুনঃনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হোক।”
তাবিথ যখন ইসিতে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, তখন পর্যন্ত ঢাকা উত্তরে ১০৯৩ কেন্দ্রের মধ্যে ১৭০ কেন্দ্রের ফল রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষণা করেন।
১৭০ কেন্দ্রে তাবিথ পান ৪৬৯৮৬ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনিসুল হক টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছিলেন ৬৯৫৬৯ ভোট। পরে অবশ্য এই ব্যবধান বাড়ে।
তাবিথের অভিযোগের বিষয়ে ইসি কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা উত্তরে কোনো ভোট কেন্দ্রেই গোলযোগ, সহিংসতা ও অনিয়মের বিষয়ে ভোট চলাকালে কোনো অভিযোগ কমিশনে আসেনি। সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ ভোট চলাকালে না পেলে তা খতিয়ে দেখার সুযোগ নেই।
ইসির উপসচিব পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি হিসেবে মেয়র প্রার্থী তাবিথ আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন।
সকালে ভোট দেওয়ার পর তাবিথ সুষ্ঠু ভোট হলে জয়ী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার পোলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন।
এরপর দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিটি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ।
ওই সংবাদ সম্মেলন তাবিথ বলেন, সরকার নির্বাচনের নামে ‘তামাশা’ করেছে।
ঢাকা দক্ষিণে গোলযোগের কারণে তিনটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হলেও উত্তরে সে ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। চট্টগ্রাম ও ঢাকা দক্ষিণের তুলনায় উত্তরে অনিয়মের অভিযোগও কম।
ভোট শেষে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ভোট বর্জন প্রার্থীর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে যে কোনো অভিযোগ এলে প্রমাণ সাপেক্ষে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তাবিথের বাবা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু। তার প্রার্থিতা বাতিলে হলে তাবিথকে বেছে নেয় বিএনপি। আর এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো ভোটের রাজনীতিতে দেখা গেল তাকে।