ভোটের ছয় দিন আগে বুধবার চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে নিজের নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির।
চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিনও ছিলেন। নাগরিক কমিটির প্রার্থী হিসেবে তিন বার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
সর্বশেষ নির্বাচনে হেরে যাওয়া মহিউদ্দিন এবারও প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। তবে দলের সমর্থন পেয়েছেন নাছির। নাগরিক কমিটির প্রার্থী হিসেবে হাতি প্রতীকে লড়ছেন তিনি।
নাছিরের ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে মহিউদ্দিন বলেন, “আমাদের প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন আজ ইশতেহার ঘোষণা করবেন। ইশতেহার মনঃপুত হলে হাতি মার্কায় ভোট দিয়ে জয়ী করতে আহ্বান জানাই।”
“ইশতেহার রচনায় আমার সহযোগিতা যদি নেওয়া হত, আরও সুন্দর হত। আমি তিন বার মেয়র ছিলাম, কয়েকবার ইশতেহার লিখেছি। আমি অত্যন্ত অভিজ্ঞ,” বলেন প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে ছয়টি করণীয় তুলে ধরে নিজের ইশতেহার ঘোষণা করেন নাছির।
গত ২০ বছর ধরে জলাবদ্ধতাকে প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখছেন বন্দর নগরীবাসী। জলাবদ্ধতা নিরসনে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ইশতেহারে না দেখে তা নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
নাছিরের পাশে বসা মহিউদ্দিন তখন বলেন, “আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ভুল-ত্রুটি মানুষেরই হয়। আমরা ফেরেশতা নই। কিছু বাদ পড়তে পারে। সবাইকে নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পরামর্শ করে সব ঠিক করা হবে।”
মেয়র থাকার সময় মহিউদ্দিন সরব ছিলেন ‘সিটি গভর্নমেন্ট’ নিয়ে। তবে তার দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ও সরকারের সাড়া পাননি তিনি।
নির্বাচনী ইশতেহারে ‘সিটি গর্ভমেন্ট’ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু না থাকার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে নাছির বলেন, “এটা আছে। সবার সমন্বয়ে কাজ করার কথা উল্লেখ করেছি। সরাসরি না বলে ঘুরিয়ে বলা হয়েছে।”
ইশতেহারে চট্টগ্রাম বন্দর, ওয়াসা, সিডিএ, রেলওয়ে, পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, মহানগর পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার কথা বলেছেন নাছির।
নাছিরের পক্ষে মহিউদ্দিন ভোট চাইতে নামলেও একসঙ্গে দুজনকে না দেখা নিয়েও প্রশ্ন আসে সাংবাদিকদের কাছ থেকে।
উত্তরে মহিউদ্দিন বলেন, “এটা আমাদের একটা পলিসি। সব জায়গায় নাছির সাহেব যাবেন। আমি যাব না, তা নয়। আমি আমার মতো যাব। আমরা ভাগ করে নিয়েছি।”