এরশাদকে নিয়ে ‘নীরব থাকার’ সিদ্ধান্ত ইসির

জাতীয় নির্বাচনের হলফনামায় সার্টিফিকেট জালিয়াতি ও তথ্য গোপনের অভিযোগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করা জাসদের প্রার্থীর মামলায় আইনি লড়াই না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিবাদী নির্বাচন কমিশন।

মঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2015, 08:47 AM
Updated : 19 April 2015, 09:34 AM

গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আইন শাখার মতামত অনুমোদন করে ইসি।

এতে বলা হয়, “এ মামলায় নির্বাচন কমিশনের ‘স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা’ না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয় না।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ মামলায় প্রার্থী [এইচ এম এরশাদ] নিজেই সংশ্লিষ্ট। যিনি সাংসদ এ নিয়ে তার ইন্টারেস্ট রয়েছে, আমাদের কোনো ইন্টারেস্ট নেই। মামলা হেরে গেলে উনি যাবেন, আমাদের আর মাথা ঘামানোর দরকার নেই।”

দশম সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসনের প্রার্থী সাব্বির আহমেদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তোলেন।

এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করে ফল না পেয়ে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন। তার রিট আবেদনে এরশাদ ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ মোট পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়।

ওই আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মামুন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কয়েকটি কোর্টে দিয়েছিলাম, উনারা শুনতে অপারগতা জানিয়েছেন। আমি আর প্লেস করলাম না। ইচ্ছে করলে পরে আবার প্লেস করতে পারব।”

সাব্বির দেওয়ানি আদালতেও এ বিষয়ে মামলা করেছেন বলে জানান তার আইনজীবী।

‘কেউ আচরণবিধির ঊর্ধ্বে নন’

জাপা চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদের সংসদ নির্বাচনের হলফনামা নিয়ে নির্বাচন কমিশন ‘নীরব’ থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা সরব।

রাজধানীর জুরাইনে শুক্রবার এক কর্মীসভায় ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী সাইফুদ্দিন মিলনের পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে এরশাদ দাবি করেন, তিনি ‘আচরণবিধির ঊর্ধ্বে’। তার ওই বক্তব্য গণমাধ্যমেও আসে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কেউ আচরণবিধির ঊর্ধ্বে নন। নির্বাচনী এলাকায় এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। যথাসময়ে এ বিষয়ে প্রার্থীকে নোটিস করা হবে।”

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হয়ে সরকারি সুবিধাভোগী হিসেবে প্রচারে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আচরণবিধিতে বিধিনিষেধ রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ইসির উপ সচিব মিহির বলেন, “যে প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছেন তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে। শোকজ নোটিস পাঠালেই আপনাদের জানাব, পরে উনাকে [এরশাদ] দেওয়া হবে।”

ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, “আচরণবিধি সবার জন্যে সমান। কেউ লঙ্ঘন করলে ছাড় দেওয়া হবে না।”