গুলশানে নিজের কার্যালয়ে অবস্থানরত খালেদা জিয়া অসুস্থতা কাটিয়ে ওঠার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
Published : 08 Jan 2015, 05:58 PM
বৃহস্পতিবার বিকালে তার সঙ্গে দেখা করে এসে জাসাসের উপদেষ্টা চলচ্চিত্রকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।
৫ জানুয়ারি ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে গত ৩ জানুয়ারি রাত থেকে কার্যালয়ে অবরুদ্ধ বিএনপি চেয়ারপারসন। বৃহস্পতিবার ওই কার্যালয়ের তালা পুলিশ খুলে দিলেও বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান রয়েছে।
৫ জানুয়ারিতে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসের’ কর্মসূচি পালনে পুলিশ বাধা দেওয়ার সময় মহিলা দলের নেত্রীদের লক্ষ্য করে পেপার স্প্রে করে, তাতে খালেদা জিয়াও অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে বিএনপি নেতারা জানান।
গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, “দেশনেত্রী পেপার স্প্রের প্রতিক্রিয়ায় অসুস্থ। গলায় ব্যথার কারণে আমাদের সঙ্গে অল্প কথা বলছেন। উনি দেশবাসীর কাছে দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।”
গণতন্ত্র ‘পুনরুদ্ধারের’ এই সংগ্রামে বাংলাদেশের জনগণ বিএনপির পাশে থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি, বলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
জাসাসের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল খালেদার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে তিনজনকে পুলিশ ভেতরে ঢুকতে দেয়। অন্য দুজন হলেন চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন ও অভিনেতা আশরাফউজ্জামান উজ্জ্বল।
জাসাস সহসভাপতি বাবুল আহমেদ, অভিনেতা হেলাল খান ও জাকির হোসেন রোকনকে পুলিশ আটকে দেওয়ায় তারা বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
পেপার স্প্রে খালেদাকে লক্ষ্য করেই: ড্যাব
পুলিশের ছোড়া পেপার স্প্রের লক্ষ্য খালেদা জিয়াই ছিলেন দাবি করে তার নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাব।
গত ৫ জানুয়ারি সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল খালেদা জিয়াকে, তার আর কার্যালয়ের নিচে নামেননি তিনি
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ওই সংবাদ সম্মেলনে ড্যবের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব ডা. এস এম লতিফুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, “বর্তমান অনির্বাচিত সরকার বিষাক্ত কেমিক্যাল উইপন ব্যবহার করেছে তিন বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ওপর।
“অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, একটি খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এই নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র একজন বয়োজ্যেষ্ঠ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ওপর সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অমানবিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।”
মানবদেহে পেপার স্প্রের প্রভাব নিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, “পেপার স্প্রে মানবদেহে প্রয়োগ করা হলে শ্বাসকষ্ট হয় এমনকি যারা বয়স্ক তাদের মৃত্যুর আশঙ্কাও রয়েছে। এই স্প্রেতে যে রাসায়নিক পদার্থগুলো ব্যবহার করা হয়, তাতে হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ, স্নায়বিক দুর্বলতা এবং ক্যান্সার হওয়ার মতো মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
ড্যাব নেতা জানান, আমেরিকার লস এঞ্জেলেসে ১৯৯০ থেকে ৯৫ পর্যন্ত ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে পেপার স্প্রের কারণে। কেমিক্যাল উইপন কনভেনশন ১৯৯৩ অনুযায়ী আন্তর্জাতিকভাবে পেপার স্প্রে প্রয়োগ নিষিদ্ধ।