চট্টগ্রামে হরতাল আহ্বান

সমাবেশে পুলিশি হামলা এবং নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগরীসহ গোট জেলায় হরতাল ডেকেছে বিএনপি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2015, 04:40 PM
Updated : 5 Jan 2015, 05:41 PM

৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসে’ সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর নাসিমন ভবনের সামনে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল।

বিকালে ওই সমাবেশ চলার এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তা পণ্ড হয়ে যায়, গ্রেপ্তার করা হয় চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরীসহ আড়াইশ’ নেতা-কর্মীকে।

আসলামের সঙ্গে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এনামুল হক এনামকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আসলামকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাতে উত্তর জেলা বিএনপি সাতটি উপজেলায় মঙ্গলবার হরতালের ঘোষণা দেয়।

উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে উত্তরের সাত উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করা হয়েছে।”

চট্টগ্রাম উত্তর জেলার বিএনপির অধীনে সাত উপজেলা হলো সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও ‍হাটহাজারী।

এরপর নগরীতেও মঙ্গলবার হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করেন নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তার সহকারী মো. সেলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সমাবেশে পুলিশি হামলা এবং নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি ডাকা হয়েছে।”

এরপর দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন দক্ষিণাঞ্চলের উপজেলাগুলোতেও হরতালের ডাক দেন। 

দক্ষিণের উপজেলাগুলো হল- পটিয়া, আনোয়ারা, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহগাড়া ও বাঁশখালী।

৫ জানুয়ারির কর্মসূচিতে ঢাকায় নিজের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া সারাদেশে লাগাতার হরতালের ডাক দিয়েছেন। তার মধ্যেই চট্টগ্রামে হরতালের এই কর্মসূচি এল।  

বিকালে সমাবেশ থেকে জামায়াত-শিবিরের কয়েকজন নেতার উস্কানিমূলক বক্তব্যের পর সমাবেশে আসা কিছু নেতাকর্মী পুলিশের ওপর হামলা ও ভাংচুর শুরু করে।

এরপর সমাবেশস্থল ও আশেপাশের এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচজন পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়েছে।

এ ঘটনার পর সংঘর্ষস্থলের আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে আড়াইশ’ জনকে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগ আটক করা হয়।