এইচ টি ইমামকে ‘ধন্যবাদ’ বিএনপির

৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সরকারের ‘ষড়যন্ত্র’ এইচ টি ইমামের বক্তব্যে ফাঁস হয়েছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএনপি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Nov 2014, 10:22 AM
Updated : 15 Nov 2014, 10:22 AM

দুদিন আগে ছাত্রলীগের এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইমামের বক্তব্য নিয়ে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রতিক্রিয়া জানান। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, “আওয়ামী লীগের এক নেতা এমন কথা বলেছেন, থলের বেড়াল বেরিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম তা ফাঁস করে দিয়েছেন।’’

“৫ জানুয়ারি কিভাবে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধুলিসাৎ করা হয়েছে। কিভাবে তাদের দলীয় কর্মকর্তারা ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে কাজ করেছেন, তা এইচ টি ইমামই বলে দিয়েছেন। আমরা তাকে সত্য প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে অবৈধ বলে আসছে ভোট বর্জনকারী বিএনপি। অর্ধেকের বেশি আসনের সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এর মাধ্যমে গঠিত সংসদ ও সরকারকেও অবৈধ বলছে বিএনপি।

অন্যদিকে সরকারের ভাষ্য, বিএনপি নির্বাচনে না আসায় এত বেশি সংখ্যক আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে নির্বাচন সংবিধানসম্মতভাবেই হয়েছে।   

এইচ টি ইমাম সরকারি চাকরি প্রার্থী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ‘দেখবেন’ বলে আশ্বাসও দেন, যার প্রতিক্রিয়াও জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

ফখরুল বলেন, “ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা মানুষের বাড়ি-ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জমি-জমা দখল করছে। এখন ইমাম সাহেবরা তাদের সরকারি চাকরি দিতে চান।”

এইচ টি ইমামের বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতা ইতোমধ্যে অসন্তোষ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীও ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে গণমাধ্যমের খবর।

ফখরুল বলেন, “এখন আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, ‘এইচ টি ইমাম রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ, তাই এমন কথা বলেছেন’। কিন্তু সত্য কথা তিনি বলেছেন, এটা তো ঠিক।”

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, “আওয়ামী লীগে কখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাদের নেতারা বলেন, দ্বিতীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করবেন। তারা এখন বলেন, গণতন্ত্র পরে, আগে উন্নয়ন প্রয়োজন। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের ধারণা।”

জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে ‘শহীদ জিয়া ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখার ‘চক্রান্ত’ করছে সরকার।

মন্ত্রীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ক্ষমতাসীনদের অনেক মন্ত্রী অনেক বড় বড় কথা বলছেন। আমার বড় ভাই, তোফায়েল সাহেব বলেছেন, ১৫ অগাস্টের ঘটনার জন্য অনেকে দায়ী।

“ওই সময়ে রক্ষী বাহিনীর প্রধান কে ছিলেন? কেন রক্ষী বাহিনী প্রতিরোধ করেনি? কোথায় ছিল আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা? তারা কেউ তো প্রতিবাদও করেনি, বরং পালিয়ে গেছে। ধন্যবাদ জানাই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে। তিনিই সেদিন প্রতিবাদ করেছিলেন।”