কথায় কথায় জয়কে টানেন কেন: লতিফ

শেখ হাসিনার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ‘সরকারের কেউ নন’ মন্তব্য করে যে কোনো প্রসঙ্গে তাকে জড়িয়ে প্রশ্ন না করতে বললেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2014, 02:02 PM
Updated : 1 Oct 2014, 05:12 AM

রোববার নিউ ইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ সদস্য। 

অনুষ্ঠান ফ্লোর থেকে একজন সাংবাদিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভূমিকা নিয়ে মন্ত্রীর মন্তব্য চাইলে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, “কথায় কথায় আপনারা জয়কে টানেন কেন। 'জয় ভাই' কে?

“জয় বাংলাদেশ সরকারের কেউ নয়। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ারও কেউ নন।”

নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, নির্বাহী সদস্যা শাহানারা রহমান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. শাহজাহান মাহমুদ, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও নিউজার্সির প্লেইন্স বরো সিটির কাউন্সিলম্যান ড. নূরন্নবী, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান সালুও উপস্থিত ছিলেন।

তবে পুরো অনুষ্ঠানেই মাইক ছিল মন্ত্রীর হাতে। আর কারো বক্তব্য দেয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের কোনো উপস্থাপকও ছিলেন না।

লতিফ সিদ্দিকীকে সংবর্ধনা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘টাঙ্গাইল জেলা সমিতি’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, তিনি হজ ও তাবলিগ জামায়াতেরও বিরোধী। তার মতে, এতে শ্রমশক্তির অপচয় হয়, উৎপাদনে প্রভাব পড়ে।

মঞ্চে উপস্থিত টাঙ্গাইলের সন্তান ও মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরন্নবী সম্পর্কে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, “একবার নির্বাচনের সময় আমি তার কাছে কিছু টাকা চেয়েছিলাম। মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। লতিফ সিদ্দিকী কখনো কারো কাছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা নেয় না।”

জয়কে নিয়ে মন্তব্যের পর অনুষ্ঠানে উপস্থিত আওয়ামী লীগ কর্মী ও সমর্থকরা সভাস্থলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। হৈ চৈ হট্টগোল শুরু হলে এক পর্যায়ে লতিফ সিদ্দিকী অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর কথাবার্তার সঙ্গে আমি মোটেই একমত ছিলাম না। কিন্তু সেখানে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ হয়নি বলে নিজের মতামত জানাতে পারিনি।”

নূরন্নবীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের কথা ছিল। কিন্তু কথা বলেছেন মন্ত্রী একাই। সভার কোনো পরিচলকও ছিল না। আমরা কেউ কথা বলার সুযোগ পাইনি।”