ফিরোজকে নিয়ে এরশাদ-রওশন পাল্টাপাল্টি

সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা মনোনয়ন নিয়ে আবারো বিপরীত অবস্থান নিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ এবং দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2014, 04:50 PM
Updated : 9 Sept 2014, 05:21 PM

মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদকে বিরোধীদলীয় উপনেতা মনোনয়ন নিয়ে স্পিকারকে পাল্টাপাল্টি চিঠি দিয়েছেন তারা।

রওশনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং শ্রম ও কর্মসংন্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফিরোজ রশীদকে বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে ৩২ জন এমপির স্বাক্ষরসহ চিঠি স্পিকারকে পাঠানো হয়েছে।”

এদিকে ফিরোজ রশীদকে বিরোধীদলীয় উপনেতা না করতে পাল্টা চিঠি দিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান এরশাদ।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি দুটো চিঠি পেয়েছি। আমি আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় পার্টির এক সংসদ সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফিরোজ রশীদকে উপনেতা করতে মঙ্গলবার যে চিঠি স্পিকারের কাছে দেয়া হয়েছে, সেটাকে সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ গত ৩১ অগাস্ট সংসদীয় দলের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”

সংসদ সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বিরোধী দলীয় নেতার অবস্থানের বিপক্ষে গিয়ে ফিরোজকে উপনেতা না করতে স্পিকারকে মঙ্গলবারই আলাদা চিঠি দেন দলীয় চেয়ারম্যান এরশাদ।

আইন অনুযায়ী স্পিকার তার বিবেচনা মতে বিরোধীদলীয় উপনেতা ঠিক করে থাকেন।

এর আগে গত ২৭ জুলাই জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফিরোজ রশীদকে বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার জন্য স্পিকারকে চিঠি দেন রওশন এরশাদ।

পরে ৩১ জুলাই এক বিবৃতিতে এরশাদ বলেন, সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার পদে জাতীয় পার্টি থেকে কাউকে নির্বাচন করা হয়নি। এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি।

সেসময় ফিরোজ রশীদকে বিরোধীদলীয় উপনেতা না করতে স্পিকারকে চিঠিও দেন এরশাদ। তবে ‘আইন অনুযায়ী’ চিঠি না পাওয়ায় স্পিকার তখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি।

এদিকে মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে মাগরিবের বিরতিতে সংসদ ভবনস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন এরশাদ।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৫ মিনিটেরও বেশি সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন এরশাদ।