বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন গিয়ে হিসাব জমা দেয়ার পর দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিএনপির ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩২৬ টাকা, আর আয় ছিল ৭৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬২ টাকা।
এ সময়ে ঘাটতি হয়েছে ১ কোটি ৫১ লাখ ১৯ হাজার ৫৬৪ টাকা। ঘাটতি পূরণ কিভাবে হয়েছে- জানতে চাইলে রিজভী বলেন, “এর আগের বছরে উদ্বৃত্ত থেকে তা পূরণ করা হয়েছে।”
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিরও ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হিসাব জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।
তবে তা জমা দিতে ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিল ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে বর্তমানে সংসদের বাইরে থাকা দলটি।
বিএনপির আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে নেতা-কর্মীদের চাঁদার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিভিন্ন সভা সমাবেশ, লিফলেট, স্টাফদের বেতন, শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন ব্যয়ের খাত হিসেবে দেখানো হয়েছে।
২০১০-১১ অর্থবছরে বিএনপির ব্যয় হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ ১৮ হাজার ২১৪ টাকা। আয় দেখানো হয় ২ কোটি ৪৯ লাখ ৩২ হাজার ৭৭৬ টাকা।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে তাদের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়।
নির্ধারিত সময় ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও তাদের হিসাব জমা দেয়নি। তারা ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় নিয়েছে। জাতীয় পার্টি সময় নিয়েছে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত।
নিবন্ধিত ৪০টি দলের মধ্যে ১৪টি দলই সময় বাড়াতে আবেদন করে। বাকিরা নির্ধারিত সময়ে হিসাব বিবরণী জমা দেয়।