গত ২৭ জুলাই জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদকে বিরোধী দলীয় উপনেতা হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার জন্য স্পিকারকে চিঠি দেন রওশন এরশাদ।
পরে গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ জানান, সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতার পদে জাতীয় পার্টি থেকে কাউকে নির্বাচন করা হয়নি। এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তও নেয়া হয়নি।
আইন অনুযায়ী স্পিকার তার বিবেচনা মতে বিরোধী দলীয় উপনেতা ঠিক করে থাকেন।
রোববার স্পিকারকে দেয়া চিঠিতে জাপা চেয়ারম্যান ও সাবেক সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ বলেন, “গঠনতন্ত্র অনুসারে জাপার সংসদীয় কমিটি দলের একটি শাখা মাত্র। এখানেও কোনো নিয়োগ কিংবা পরিবর্তনের এখতিয়ার কেবল দলের চেয়ারম্যানের ওপর ন্যস্ত। দলের চেয়ারম্যান সংসদীয় বোর্ডেরও চেয়ারম্যান।
“আমার পার্টি থেকে কাউকে বিরোধীদলীয় উপনেতা করার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ভবিষ্যতে যদি আমরা সংসদীয় কমিটিতে এ বিষয়ে কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করি, তাহলে দলের সভাপতিমণ্ডলির সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে আপনার বরাবরে পেশ করা হবে।”
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আইন অনুযায়ী আমি আমার সিদ্ধান্ত নেব।”
তিনি বলেন, “আমার কাছে যে মনোনয়ন আসবে সেটি সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত হিসেবে আসা উচিত।”
কাজী ফিরোজ রশীদকে উপনেতা না করতে এরশাদের চিঠির বিষয়ে শিরীন শারমিন বলেন, “সংসদীয় দলের রেজুলেশন অনুযায়ী আমি সিদ্ধান্ত নেব। এখানে সংসদের বাইরের কোন কিছু প্রাধান্য পাবে না।”
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “আমি ঢাকার বাইরে একটি বিয়েতে আছি। এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।”
জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সভা কবে হয়েছে জানতে চাইলে কাজী ফিরোজ রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৈঠক হয়েছে। ঠিক তারিখটা মনে নেই।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় পার্টির এক সংসদ সদস্য বলেন, “এখন পর্যন্ত যে কয়টি সংসদীয় দলের বৈঠক হয়েছে তাতে উপনেতা নির্ধারণ নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয়নি। তবে এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আমরা ম্যাডামকে (রওশন) সর্বসম্মতিক্রমে ক্ষমতা দিয়েছি।”
ওই সংসদ সদস্য বলেন, “শুনেছি দলের বেশিরভাগ এমপিরই ফিরোজ রশীদের ব্যাপারে সম্মতি রয়েছে।”