বুধবার জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলুকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে পাঠানো হয়েছে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জরিমানা দিয়ে দশম সংসদ নির্বাচনের দলভিত্তিক ব্যয় বিবরণী জমা দিতে জাতীয় পার্টিকে দ্বিতীয়বার অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান তারা।
গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নেয়া ১২টি দলের মধ্যে শুধু জাতীয় পার্টিই এখনো ব্যয় রিটার্ন জমা দেয়নি।
সতর্কীকরণের পর দ্বিতীয় দফায়ও হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের নিবন্ধন বাতিলের উদ্যোগ নেয়া হবে।এরইমধ্যে ব্যক্তিগত নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব না দেয়ায় মামলার মুখে রয়েছেন দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ।
নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব রকিবউদ্দিন মণ্ডল স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, নির্ধারিত সময়ে জাতীয় পার্টি দলীয় নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা না দেয়ায় এক মাস সময় দিয়ে সতর্কীকরণ নোটিশ দেয়া হয়। এ সময়সীমাও শেষ হওয়ায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জরিমানা দিয়ে হিসাব জমা দিতে অনুরোধ করা হলো।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (৪৪ সিসিসি) অনুযায়ী, ভোটের গেজেট প্রকাশের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে হিসাব জমা দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ে তা না দিলে দলগুলোকে সতর্ক করে এক মাসের মধ্যে হিসাব দিতে নোটিস দেয়া হয়।
এরপরও ব্যর্থ হলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে হিসাব জমা দেয়ার সুযোগ পায় কোনো দল।
এদিকে লালমনিরহাট-১ আসনের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা না দেয়ায় ইসির মামলার মুখে রয়েছেন এরশাদ। তার বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশনাও ইতোমধ্যে দিয়েছে ইসি।
উপ-নির্বাচনের সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেছেন, বরিশাল ও নারায়ণগঞ্জে উপনির্বাচনে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার কমিশনের কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কোনো ধরনের অনিয়ম যাতে না হয়, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
১৫ জুন বরিশাল-৫ আসনে ও ২৬ জুন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ভোট হবে।
মোবাইলে ভোট তথ্য
বরিশালে উপ-নির্বাচনে এসএমএসের মাধ্যমে ভোটাররা তাদের ভোটার নম্বর ও ভোট কেন্দ্রের তথ্য পাবেন।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, ১১ ও ১২ জুন ভোটাররা তথ্য পেতে পারেন। যে কোনো মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের আইডি নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের ১৭ ডিজিটের নম্বর লিখে ২২৩৩ নম্বরে পাঠাতে হবে।
যাদের আইডি নম্বর ১৩ ডিজিটের তাদের ক্ষেত্রে শেষ চার ডিজিটে জন্ম সাল লিখতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ভোটার নম্বর ও কেন্দ্রের নাম জানা যাবে।