র‌্যাব বিলুপ্তির দাবি তুললেন খালেদা

নিজে ক্ষমতায় থাকার সময় গড়ে তোলা র‌্যাব বিলুপ্তির দাবি তুলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2014, 03:07 PM
Updated : 11 May 2014, 03:40 PM

নারায়ণগঞ্জের সাত খুনে র‌্যাবের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষাপটে রোববার রাজধানীর শাহীনবাগে বিএনপির নিখোঁজ এক নেতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে দেয়া বক্তব্যে এই দাবি তোলেন।

ঢাকার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সুমনকে র‌্যাব পরিচয়ে কয়েক মাস আগে ধরে নেয়া হয় বলে তার পরিবারের অভিযোগ। বিএনপি চেয়ারপারসন বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন।   

খালেদা বলেন,“র‍্যাব কিভাবে কাজ করে তা খতিয়ে দেখা উচিত। প্রয়োজনে একে বিলুপ্ত করে পুলিশের মধ্য থেকে এলিট বাহিনী গঠন করতে হবে।”

বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে পুলিশের মধ্যে বিশেষ বাহিনী হিসেবে যাত্রা শুরু করে র‌্যাব।

খালেদা বলেন, বিএনপি শাসন ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দেশে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব গঠন করা হয়েছিল।

“এরা এখন গুম, খুন ও অপহরণের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। মানুষ খুনের জন্য র‌্যাবের আর প্রয়োজন নেই। তাই এদেরকে বিলুপ্তির দাবি জানাচ্ছি।”

নিখোঁজ সুমনের পরিবারের সঙ্গে খালেদা জিয়া

সন্ত্রাস প্রতিরোধের লক্ষ্য নিয়ে গঠিত হলেও প্রতিষ্ঠার পর থেকে র‌্যাবের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে।

এ নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সমালোচনা করে এলেও তৎকালীন বিএনপি সরকার র‌্যাবকে রাখার পক্ষেই অবস্থান নেয়। এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও এই বাহিনী রাখার পক্ষে।

তিন দিন আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন এই বাহিনী রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন  তুললে তার প্রতিক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, র‌্যাব বিলুপ্তির প্রশ্নই ওঠে না।   

বিএনপির অভিযোগ, র‌্যাবকে এখন ‘রাজনৈতিকভাবে’ ব্যবহার করা হচ্ছে, বিশেষ করে বিরোধী দল দমনের কাজে।

খালেদা সারাদেশে গুম, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন। একই সময় অপহৃতদের উদ্ধারের দাবিও জানান তিনি।

ছাত্রদল নেতার বাড়িতে খালেদার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা প্রমুখ।