মঙ্গলবার রাতে রংপুরে নিজের বাড়ি পল্লীনিবাসে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেছেন, “জাতীয় সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে হলে দলকে তৃণমূল পর্যায় থেকে সুসংগঠিত করতে হবে।
“জাতীয় পার্টি না থাকলে আমার জন্ম দিবস এবং মৃত্যু দিবস পালন করবে কে? জাতীয় পার্টি থাকলে মানুষ আমাকে স্মরণ করবে?”
বিএনপিবিহীন দশম সংসদে জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসলেও একইসঙ্গে সরকারেও যোগ দিয়েছে। এরশাদ নিজেও হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। ফলে সংসদে দলটির কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
উপজেলা নির্বাচনে ফল ভাল না হলেও জাতীয় পার্টি ‘ঘুরে দাঁড়াবে’ বলে কর্মীদের আশ্বস্ত করেছেন এরশাদ।
“মনোবল হারালে চলবে না। খুব শিগগিরই জাতীয় পার্টি ঘুরে দাঁড়াবে। আগামী দিনে মানুষ জাতীয় পার্টিকেই সমর্থন দেবে।”
“আমি সেনাপ্রধান ছিলাম। সফল রাষ্ট্রপতি ছিলাম। আমি জানি, কী করে জনগণের মন জয় করতে হয়।”
তিস্তায় পানি কমে যাওয়ার বিষয়টি সংসদে তুলবেন জানিয়ে এরশাদ বলেন, “কৃষকরা যাতে পানি পায় সে ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাব।”
সভায় দলের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ খালেদ, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর জেলা সম্পাদক আবুল মাসুদ চৌধুরী নান্টু, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন কাদেরী বক্তব্য দেন।
গত ২৯ মার্চ পাঁচ দিনের সফরে রংপুরে আসেন এরশাদ। বুধবার তিনি ঢাকায় ফিরবেন বলে সালাহ উদ্দিন কাদেরী জানিয়েছেন।