উপজেলা ভোটে জয় আওয়ামী লীগের

প্রথম দিকে পিছিয়ে থাকলেও শেষ দুই পর্বের ফলে বিএনপিকে ছাড়িয়ে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফলাফল ঘরে তুলেছে আওয়ামী লীগ; যদিও এতে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছে বিএনপি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 March 2014, 05:55 PM
Updated : 19 May 2014, 07:41 PM

সোমবার পঞ্চম পর্বের ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৫৪ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

এই পর্বে বিএনপির চেয়ারম্যানের সংখ্যা ১১ জন, দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর যে দলটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।  

৭৩ উপজেলায় এই ভোটে বড় ধরনের কোনো সংঘাত না হলেও কেন্দ্র দখল করে অবাধে ব্যালটে সিল মারার চিত্র ধরা পড়েছে সাংবাদিকদের ক্যামেরায়ও।

বিএনপি বলেছে, এদিন কেন্দ্র দখলের ‘মহাযজ্ঞ’ চলেছে। একে ‘অপপ্রচার’ বলেছে আওয়ামী লীগ। আর নির্বাচন কমিশন বলছে, সার্বিকভাবে ভোট ছিল সুষ্ঠু।

নীলফামারীর একটি কেন্দ্রে ভোট গণনার চিত্র

নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গার সদর ও আলমডাঙ্গা এবং সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে উপজেলায় মঙ্গলবার আধাবেলা হরতাল ডেকেছে বিএনপি।

অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ৫ উপজেলার ১৯ কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হয়েছে। এর ফলে ২টি উপজেলা বরগুনার আমতলী এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ভোটের ফল হয়নি।

বাকিগুলোর ফলাফলে দেখা গেছে, জামায়াতে ইসলামীর ৩ জন এবং পাহাড়ি সংগঠন জেএসএসের ২ জন ও ইউপিডিএফের ১ জন চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।

পঞ্চম পর্ব নিয়ে দেশের ৪৮৭ উপজেলার ৪৫৯টিতে নির্বাচন শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫৪টির ফলাফল পাওয়া গেছে।

পাঁচ পর্ব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের বিজয়ী চেয়ারম্যানের সংখ্যা ২৩১ জন। বিএনপির চেয়ারম্যানের সংখ্যা ১৬১ জন।

এছাড়া জামায়াতের ৩৫, জাতীয় পার্টি ৩, জেএসএস ৮, ইউপিডিএফ ৪, এলডিপির ১ এবং নির্দলীয় ও অন্যান্য ১১ জন চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের আর কেউ চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী না হলেও জামায়াত ও এলডিপি মিলিয়ে ১৯ দলের চেয়ারম্যানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯৭ জন।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার একটি কেন্দ্রে নারী ভোটারদের সারি।

তিনটি উপজেলায় তিন নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন- নোয়াখালীর কবিরহাটে কামরুন নাহার শিউলী, ভোলার মনপুরায় সেলিনা আক্তার এবং রাঙামাটির বরকলে মনি চাকমা।

উপজেলা নির্বাচনে প্রথম থেকে তৃতীয় পর্ব পর্যন্ত ভোটের হার টানা বাড়লেও তাতে ছেদ ঘটেছে চতুর্থ পর্বে।

প্রথম পর্বে ৬২ দশমিক ৪৪ শতাংশ, দ্বিতীয় পর্বে ৬৩ দশমিক ৩১ শতাংশ, তৃতীয় পর্বে ৬৩ দশমিক ৫২ শতাংশ ও চতুর্থ পর্বে ৫৬ দশমিক ১২ শতাংশ ভোট পড়ে।  

 ষষ্ঠ ও শেষ পর্বে অন্তত ২০ উপজেলার ভোট বাকি রয়েছে, যা জুলাই-অগাস্টের দিকে হবে বলে নির্বাচন কমিশন আভাস দিয়েছে।

চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম পর্ব প্রায় গোলযোগহীন হলেও তার পরের তিনটি পর্বে সহিংসতা ধারাবাহিকভাবে বাড়ে, সব মিলিয়ে নিহত হন সাতজন। পঞ্চম পর্বে গোলযোগ-সহিংসতা না থাকলেও অনিয়মের অভিযোগ ছিল বেশ।