ভোট ঠেকাতে হরতাল-অবরোধ চালিয়ে আসা বিএনপি বলেছে, দেশবাসী এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে; সারাদেশে ‘ভোটারবিহীন’ ভোটকেন্দ্রই তার প্রমাণ।
Published : 05 Jan 2014, 02:06 PM
রোববার দুপুরে এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “ভোটারের উপস্থিতিবিহীন ভোটকেন্দ্রগুলোর প্রকৃত তথ্যচিত্র ইতোমধ্যে দেশবাসীসহ গোটা বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে। বির্তকিত এই একদলীয় নির্বাচণকে জনগণ ‘না’ বলে অত্যন্ত ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।’’
আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত চলমান অবরোধ কর্মসূচি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি।
এই আন্দোলনে জনগণে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে দাবি করে সেজন্য দেশবাসী ও ১৮ দলীয় জোটের নেতা- কর্মীদের অভিনন্দন জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলীয় জোট এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ আখ্যায়িত করে গত ১ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে অবরোধ চালিয়ে আসছে। এর পাশাপাশি ভোট ঠেকাতে শনিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতালও করেছে তারা।
এই অবরোধ-হরতালের মধ্যে গত শুক্রবার থেকে শতাধিক কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ হয়েছে; পোড়ানো হয়েছে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম। ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে।
রোববার ভোট শুরুর পরও বিভিন্ন স্থানে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
দলের সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘দলীয়ভাবে’ ব্যবহার এবং প্রশাসনযন্ত্রকে ‘নিজেদের ইচ্ছামত সাজিয়ে’ সরকার প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার চেষ্টা করলেও জনগণ তাদের ‘না’ বলে দিয়েছে।
“আমরা মনে করি, সরকারের একগুঁয়েমি, একরোখা নীতি এবং এক ব্যক্তির মনোস্কামনা পূরণের প্রহসনমূলক এই নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে। একটি অর্থহীন, হাস্যকর ও সবার কাছে অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকার দেশবাসীর কাছে ধিকৃত হয়েছে।”
এই ‘নির্বাচনী নাটক’ করতে গিয়ে ক্ষমতাসীন দল এখন নিজেদের অস্তিত্ব নিয়েই দ্বিধাগ্রস্ত বলে মন্তব্য করে ফখরুল।
তিনি বলেন, “এই প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত সরকার সম্পূর্ণ অবৈধ।”