হোম
+
যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যু পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে আরো একদিন সারাদেশে হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী।
Published : 09 Dec 2013, 05:34 PM
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে অবরোধের মধ্যে সোমবার হরতাল আহ্বানের পর মঙ্গলবারও একই কর্মসূচি ডেকেছে তারা।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান সোমবার এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এদিন ১৮ দলের চলমান অবরোধও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার মৃত্যু পরোয়ানা রোববার জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হরতালের ডাক দেয় জামায়াত।
দলটির দাবি, কাদের মোল্লা সরকারের ‘পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের’ শিকার হতে যাচ্ছেন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন সাজা দিলে তার প্রতিবাদেও হরতাল ডেকেছিল জামায়াত।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হলে সর্বোচ্চ আদালত হত্যা-ধর্ষণ-লুণ্ঠনের অপরাধে এই জামায়াত নেতাকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়। পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পেয়ে রোববার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
জামায়াত বলেছে, “সরকার আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।”
এর বিচার প্রক্রিয়া ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও দাবি করেছে দলটি।
“বিচার করছে আদালত আর মামলার রায়ের দিন, তারিখ, সময় নির্ধারণ করছে সরকার।”
“ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রী যে কোনো মুহূর্তে রায় কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছেন।”
“এমনকি মঙ্গলবার রাতেও এ রায় কার্যকর হতে পারে মর্মে বিভিন্ন মহলে আলোচনা করা হচ্ছে।”
বিশেষ আইনে এই বিচার হওয়ায় আপিল বিভাগের রায় পর্যালোচনার সুযোগ নেই বলে প্রসিকিউটররা বলে এলেও জামায়াত দাবি করেছে, “সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আব্দুল কাদের মোল্লা রিভিউ করার অধিকার রাখেন।”
কাদের মোল্লা রিভিউ আবেদনে করার প্রস্তুতি নিতে তার পরিবারকে বলেছেন জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “আইনজীবীগণ তার সাক্ষাৎ চেয়ে আজ জেল কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছেন।”
রিভিউ আবেদনের বিষয়ে প্রসিকিউটররা সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদ তুলে ধরে আসছেন।
এতে বলা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে মৌলিক অধিকারের ধারা প্রযোজ্য হবে না।
