রোববার জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর কয়েক ঘণ্টা আগেই জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে তা কারা কর্তৃপক্ষকে পাঠায় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সরকারের ‘পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে এই কর্মসূচি ডাকা হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন সাজা দিলে তার প্রতিবাদেও হরতাল ডেকেছিল জামায়াত।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হলে সর্বোচ্চ আদালত হত্যা-ধর্ষণ-লুণ্ঠনের অপরাধে এই জামায়াত নেতাকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়। পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পেয়ে রোববার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলছে, ওই জোটের অন্যতম শরিক জামায়াত। অবরোধের মধ্যে মৃত্যু পরোয়ানা জারির পর হরতাল ডাকল দলটি।
জামায়াত বলেছে, “সরকার আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।”
এর বিচার প্রক্রিয়া ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও দাবি করেছে দলটি।
“বিচার করছে আদালত আর মামলার রায়ের দিন, তারিখ, সময় নির্ধারণ করছে সরকার।”
“ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রী যে কোনো মুহূর্তে রায় কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের এই ঘোষণার মাধ্যমে প্রতীয়মান হয়, সরকার আব্দুল কাদের মোল্লাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।”
কাদের মোল্লা রিভউ আবেদনে করার প্রস্তুতি নিতে তার পরিবারকে বলেছেন জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “আইনজীবীগণ তার সাক্ষাৎ চেয়ে আজ জেল কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছেন।”
রিভিউ আবেদনের বিষয়ে প্রসিকিউটররা সংবিধানের ৪৭ (৩) অনুচ্ছেদ তুলে ধরে আসছেন।
এতে বলা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে মৌলিক অধিকারের ধারা প্রযোজ্য হবে না।