শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, “রায় যে কি হতে পারে, দেশের মানুষ তা জানে।”
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলার এই রায় রোববার হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বৃহস্পতিবার তারেকের বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ঠিক করে ঢাকার একটি আদালত।
আদালতে মামলাটি প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করে দুদকের আইনজীবীরা আসামির শাস্তি আশা করলেও তারেককে দলের পরবর্তী কর্ণধার হিসেবে বিবেচনাকারী নেতা-কর্মীরা এই মামলাকে রাজনৈতিক ‘প্রতিহিংসামূলক’ বলে দাবি করে আসছেন।
বিএনপির অঙ্গসংগঠন ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এই আলোচনা সভায় হান্নান শাহ অভিযোগ করেন, সরকার বার বার সংবিধান লঙ্ঘন করে গণতন্ত্রকে ‘গর্তে’ ফেলে দিয়েছে।
“আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সংবিধান লঙ্ঘন করে ৯০ ভাগ মানুষের নির্দলীয় সরকারের দাবিকে পাশ কাটানো যাবে না।”
সরকারের ‘একদলীয় নির্বাচনের চেষ্টার’ বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলারও আহ্বান জানান তিনি।
হান্নান শাহ বলেন, “একতরফা নির্বাচন সরকার করে ফেলবে- আমাদের মধ্যে বেশ কিছু নেতার এ নিয়ে উৎকণ্ঠা আমি দেখতে পেয়েছি। তাদের বলব, এ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকার সুযোগ নেই। নিজ নিজ এলাকার ভোট কেন্দ্রে যাতে ভোট হতে না পারে, এর ব্যবস্থা নিতে হবে।’’
ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. হানিফের সভাপতিত্বে ‘নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা প্রেক্ষিত বাংলাদেশ ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রুহুল আলম চৌধুরী, যুব দলের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম আজাদ, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জিয়া নাগরিক পরিষদের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার বক্তব্য রাখেন।