সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হলে তাতে সাংসদদের প্রার্থী হতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন একজন নির্বাচন কমিশনার।
Published : 06 Oct 2013, 05:11 PM
নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ রোববার শেরে বাংলানগরে কমিশন কার্যারলয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
সংসদ সদস্যপদ লাভজনক কিনা জানতে কমিশন আদালতের শরণাপন্ন হবে কিনা জানতে চাইলে আবু হাফিজ বলেন, “আদালতে যাওয়ার দরকার নেই। এ নিয়ে একটি রায় হয়ে গেছে। তাতে বলা হয়েছে- সংসদ সদস্যপদ লাভজনক নয়।”
ওই রায়ের আলোকে পদে থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সংসদ সদস্যদের ‘কোনো বাধা নেই’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। আর সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী সরকারের মেয়াদের মধ্যেই নির্বাচন হওয়ায় বর্তমান সংসদ ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তামন মন্ত্রিসভাও তখন বহাল থাকবে।
এই পরিস্থিতিতে সব পক্ষের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে কি-না তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কমিশনার আবু হাফিজ বলেন, নির্বাচনকালে সংসদ সদস্য ও প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে কমিশন আচরণবিধি প্রণয়নের কাজ করছে।
“সংসদ বহাল থাকলে সরকারে যারা থাকবেন এবং যারা বাইরে থাকবেন তাদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে কঠোর আচরনবিধি করব। কিন্তু আইন দিয়ে গণতন্ত্র কিংবা লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড হয় না। এটি প্রাকটিসের বিষয়।”
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্য ও ভারতের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির কথাও তুলে ধরেন সাবেক এ আমলা।
তিনি বলেন, কমিশন যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মালয়শিয়াসহ কয়েকটি দেশের আচরণবিধি পর্যালোচনা করছে।
অবশ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিবেচনায় ভারতের আচরণবিধিকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে বলে আবু হাফিজ জানান।
তিনি বলেন, দশম সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটার তালিকা, সীমানা পুননির্ধারণ, আইন প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। এখন আচরণবিধি প্রণয়নকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কীভাবে হবে তা নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের মধ্যে দূরত্ব থাকলেও শেষ পর্যন্ত সমঝোতা হবে বলেই তার বিশ্বাস।