সিইসির কাছে সচেতন নাগরিক ‘মুহিতের’ চিঠি

ভোট দিতে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র, পোস্টাল ব্যালট, পর‌্যবেক্ষক, ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন ও ভোটারদের ভিড় নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা নির্বাচন কমিশনকে লিখলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

মঈনুল হক চৌধুরী জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2013, 07:24 PM
Updated : 3 Oct 2013, 07:24 PM

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে এ কয়টি বিষয় লক্ষ্য করে তা ইসির কাছে তুলে ধরে গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিজের দপ্তরের প্যাডে সিইসিকে চিঠি পাঠান তিনি। 

মুহিত লিখেছেন, “গত মেয়র নির্বাচনের সময় আমি কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য করি এবং একজন সচেতন ভোটার হিসেবে আমার কিছু বলার আছে। তাই আমি কয়েকটি বিষয়ে ইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ পত্রটি আম মন্ত্রী হিসেবে লিখছি না, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে দিচ্ছি।”

চিঠি পাওয়ার পরদিনই নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ সাদিক ‘সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুলিপি দিয়ে পরীক্ষা করে উপস্থাপন করতে বলা হোক’ লিখে চিঠিটি ইসি সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠান।

সিইসি দেশের বাইরে থাকায় বুধবার ইসি নির্বাচন পরিচালনা শাখা তা পর‌্যালোচনা করেন বলে ইসি কর্মকর্তারা জানান।

ফাইল ছবি

সিলেটে মুহিতের অভিজ্ঞতা ও সুপারিশ

সিইসিকে মুহিত লিখেছেন, ভোটে জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে চান তিনি।

“...প্রতিটি ভোটারের জন্য ছবি সংবলিত পরিচয়পত্র হাতে রাখা বাধ্যতামূলক করা দরকার। কারণ যদি কোথাও কোনো চ্যালেঞ্জ হয় তাহলে তাকে তার পরিচয়পত্র দিয়েই সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।”

সিলেটে জাতীয় পরিচয়পত্র থেকেও নাম ভোটার তালিকায় ছিল না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

“ আমি শুনলাম যে, ...আর একটি বিষয় হলো যে যার এই রকম পরিচয়পত্র থাকে তার নাম ভোটার তালিকায় থাকতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় হয় মেয়র নির্বাচনের সময়।”

এই বছরের মাঝামাঝিতে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অর্থমন্ত্রীর আগমন নিয়ে সমালোচনা চলে। তিনি তখন রিকশায় চড়ে ভোট দিতে যান।

অন্যান্য

ভোটের সময় দায়িত্বপালন করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট নেয়ারও অনুরোধ রাখেন মুহিত।

“অন্যান্য দেশে এজন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা আছে। আমাদের এখানে পোস্টাল ব্যালট আপাতত নেই। সুতরাং অন্যভাবে তাদের ভোট নেয়ার ব্যবস্থা করা যায়..”।

ভোটের ১৫ দিন আগেই ভোট কেন্দ্র পরিবর্তন, ভোটারদের অধিকার প্রদান বা বাতিল চূড়ান্ত করা দরকার বলেও মত দেন তিনি। ভোটার তালিকায় হাতে লেখা সংশোধনী নিষিদ্ধ করার দাবি জানান মুহিত।

ভোট কেন্দ্রের ভিড় সামলাতে কেন্দ্রের পরিসর বিবেচনা করে ক’জন একসঙ্গে থাকবেন তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী তার চিঠিতে।

অসংখ্য ভূঁইফোড় পর‌্যবেক্ষক ভোট কেন্দ্রে থাকে উল্লেখ করে মুহিত জানান, এদের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। পর‌্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে নিবন্ধিত করতে হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, অর্থমন্ত্রীর উল্লেখ করা বিষয়গুলো বিদ্যমান আইনে নির্ধারিতভাবে কার‌্যকর করা হয়। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বিষয়ে কমিশনই পরবর্তীতে আলোচনা করে দেখবেন।