বলিনি নিবন্ধটি খালেদার: মওদুদ

খালেদা জিয়ার অস্বীকারের পর ওয়াশিংটন টাইমসে লেখা নিয়ে আগের বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন মওদুদ আহমদ।  

সুলাইমান নিলয়বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2013, 10:30 AM
Updated : 1 July 2013, 10:40 AM

গত জানুয়ারিতে ওই নিবন্ধটি প্রকাশের পর বিএনপি নেতা মওদুদ বলেছিলেন, তা খালেদা জিয়ার

বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা গত শনিবার সংসদে বলেন, তার নামে ছাপানো ওই লেখা তার নয়।

সংসদে এই বক্তব্যের সময় খালেদা জিয়ার পাশের আসনে থাকা মওদুদ সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই লেখা খালেদা জিয়ার বলে কোনো বক্তব্য তিনি দেননি।

খালেদা জিয়ার নামে ওয়াশিংটন টাইমসে ওই লেখাটি গত ৩০ জানুয়ারি প্রকাশের পর তা নিয়ে সমালোচনায় ফেটে পড়েন সরকারি দলের নেতারা।

তারা বলেন, ওই নিবন্ধে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রদ্রোহসম অপরাধ করেছেন।

এরপর ১ ফেব্রুয়ারি নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) শাখা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সরকারি দলের সমালোচনার জবাব দেন মওদুদ, যা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেও প্রকাশিত হয়।

মওদুদ বলেন, “সরকার আপাদমস্তক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। এসব বিষয়ে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে নিবদ্ধ লিখেছেন। গণতন্ত্রকে সুরক্ষা করার জন্য এই নিবন্ধ লেখা হয়েছে।”

রাজনৈতিক দল পরিবর্তনের জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার মুখে থাকা মওদুদ আরো বলেছিলেন, “সরকারের আঁতে ঘা লেগেছে বলেই বিরোধীদলীয় নেতার প্রকাশিত নিবন্ধ নিয়ে গতকাল (৩১ জানুয়ারি) সংসদে কুরুচিপূর্ণ ভাষার সমালোচনা করা হয়েছে। তাদের সমালোচনাই প্রমাণ করে বিরোধী দলীয় নেতা নিবন্ধে সত্য কথা বলেছেন।”

সংসদে বক্তৃতায় খালেদা জিয়া।

যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা বাতিলের পর ওই
লেখার কথা অস্বীকার করে খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার সংসদে বলেন, “কেউ কেউ বিদেশি একটি পত্রিকায় আমার নামে প্রচারিত একটি লেখার কথা বলেছেন। আমি এমন কোনো লেখা পাঠাইনি।”

ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিবন্ধের একটি কপি হাতে তুলে দেখালে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, “ওটা আমার লেখা নয়।”

খালেদার অস্বীকারের পর আগের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে মওদুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই নিবন্ধটি খালেদার বলে আমি কোনো বক্তব্য দিইনি। যারা বলছে, তারা মিথ্যা কথা বলছে।”

সংসদে খালেদার বক্তব্যের পর শেখ হাসিনা বলেন, “ওই লেখার ল্যাঙ্গুয়েজ ও উনার আজকের বক্তৃতার ল্যাঙ্গুয়েজে অনেক মিল আছে।

“অস্বীকার করলে পারবেন না। এখানে লেখা আছে- ‘খালেদা জিয়াস আর্টিকেল, ফরমার প্রাইম মিনিস্টার, প্রেজেন্ট অপজিশন লিডার’। ইন্টারনেটে খুঁজলেই যে কেউ দেখতে পাবে।”

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন টাইমসের মতামত পাতায় খালেদা জিয়ার নামে ওই নিবন্ধ ছাপা হয়েছিল। এতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের বদলে একটি পরিবারের শাসনে যাচ্ছে।

ওই নিবন্ধের বিষয়ে বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৬ ফেব্রুয়ারি বলেছিলেন, “দেশের বাস্তব অবস্থা তুলে ধরতে বিরোধীদলীয় নেতা এই নিবন্ধ লিখেছেন। দেশের নাগরিক হিসেবে তিনি (খালেদা জিয়া) তা লিখতেই পারেন।”

সেদিন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরিকুল ইসলামকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেছিলেন তিনি।