গত কয়েকদিনে শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সংলাপ দ্রুত শুরু হলেই সমাধান বের করা সহজ হবে।”
জাতিসংঘ মহাসচিবের দূত হিসেবে চার দিনের সফরে শুক্রবার ঢাকা আসেন তারানকো। প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করে বান কি মুনের একটি চিঠিও দুই নেত্রীকে দেন তিনি।
তারানকো বলেন, অর্থবহ ও গঠনমূলক রাজনৈতিক সংলাপের জরুরি প্রয়োজনের বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘গুরুত্বপূর্ণ বার্তা’ তিনি সব পক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
সফরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং সিইসি কাজী রকীব উদ্দিন আহমদ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন জাতিসংঘ কর্মকর্তা।
তারানকো বলেন, সঙ্কটের সমাধানের দায়িত্ব বাংলাদেশের জনগণের এবং তার সক্ষমতাও রয়েছে বলে তারা বিশ্বাস করেন।
“আমাদের কাছে কোনো ফর্মুলা নেই। আমরা কোনো ফর্মুলা দিতেও আসিনি… বরং আমরা সমাধান বের করতে উৎসাহ দিচ্ছি। সমাধান বাংলাদেশের মধ্য থেকেই আসতে হবে।”
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত হওয়ায় এখন নির্বাচিত অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না দাবি করে তা বয়কটের হুমকি রয়েছে বিএনপির।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপের জন্য বিরোধী দলকে প্রস্তাব দিলেও বিএনপি বলছে, আগে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নিতে হবে, তারপরই আলোচনা হতে পারে।
গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং শান্তি ও উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার ওপর গুরুত্ব দিতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফরের সময় একই কথা বলেছিলেন।
সংঘাত পরিহার করে শান্তিপূর্ণ পন্থায় সঙ্কট সমাধানের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এই সফরের বিষয়ে তারানকো বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূণ নির্বাচনের প্রয়োজনের কথা তার কাছে সবাই স্বীকার করেছেন।
রাতে ঢাকা ছাড়ার আগে সোনারগাঁও হোটেলে এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ফিরে গিয়ে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবকে সফরের বিষয়ে জানাবেন।