দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বুধবার শপথ নেন ৬৯ বছর বয়সী আবদুল হামিদ। তৃণমূল থেকে উঠে এসে দুই দফা স্পিকারের দায়িত্ব সামলে রাষ্ট্রপ্রধানের পদে এলেন তিনি।
আগামী নির্বাচন নিয়ে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে দায়িত্ব নিয়ে আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, “আমার ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা আছে। এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেই যতটুকু করার চেষ্টা করবো।”
নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসা বিএনপিকে মানাতে কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এইমাত্র শপথ নিয়েছি। নির্বাচন বা নানা ইস্যু নিয়ে সমস্যা আছে। আমি তো আর সব রেডি করে নিয়ে আসিনি।
“বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নতুনভাবে চিন্তাভাবনা করতে হবে। সময়মতো আপনাদের (প্রচার মাধ্যম) সব জানাবো।”
ন্যায়নিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার করে তা পালনে সব রাজনৈতিক দলের সহযোহিতা চেয়েছেন আবদুল হামিদ।
“আমার একটা রাজনৈতিক আদর্শ ছিল। কিন্তু স্পিকারের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আমি কোনো দলের থাকতে পারি না। নিরপেক্ষ হিসাবেই ছিলাম।”
রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেয়ার পর উপস্থিত সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আবদুল হামিদ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করে সবাই মিলে করেন হালকা নাশতা।
প্রধানমন্ত্রীকে বঙ্গভবনের গাড়ি বারান্দা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নতুন রাষ্ট্রপতি, যিনি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ছিলেন। তবে প্রধান বিরোধী দলের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না।
নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে নিজের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “যে সঙ্কট চলছে, তা নিরসনে তিনি শিগগিরই উদ্যোগ নেবেন আশা করি।”
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “আমার প্রত্যাশা বর্তমান অবস্থা দূর করতে তিনি (রাষ্ট্রপতি) তার মর্যাদা ও সম্মানকে কাজে লাগাবেন।”