জাতীয় সংসদে সোমবার এক প্রশ্নের উত্তরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধার তালিকা হলেও স্বাধীনতাবিরোধীদের নামের তালিকা সরকারিভাবে তৈরি হয়নি।
তবে বিভিন্ন ইতিহাসবিদ/মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষকদের লেখায় স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পর্কে তথ্য থাকার কথা প্রতিমন্ত্রী জানান।
তিনি আরো বলেন, “তৎকালীন (১৯৭১) আনসার হেডকোয়ার্টার, যা রাজাকারেরা তাদের সদর দপ্তর হিসাবে ব্যবহার করত, তার খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ে সংরক্ষিত তালিকা হতে ৩০ হাজারের অধিক রাজাকারের তথ্য পাওয়া যায়।”
ওই তালিকাটি বর্তমানে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রয়েছে বলে সংসদকে জানানো হয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৬১ বছর করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
২০১০ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৫৯ বছর করে সরকার, যখন অন্যদের বয়সীমা ছিল ৫৭ বছর।
পরবর্তীকালে গত বছর সব সরকারি কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়স ৫৯ বছর করা হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ১১ হাজার ৭৮২ জন মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা/কর্মচারী সরকারি চাকরিতে রয়েছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পিডিএফ আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ একটি মুক্তিযোদ্ধা তালিকা তৈরি করে তা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি জানান, বর্তমানে দেশে ১ লাখ ৫০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে মাসিক দুই হাজার টাকা করে বছরে ৩৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, সাত জন বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার ও বেগম তারামন বিবিসহ সাত হাজার ৮৩৮ জন মুক্তিযোদ্ধা/পরিবারকে রাষ্ট্রীয় সম্মানীভাতা বাবদ বার্ষিক ৭২ কোটি ৬২ লাখ ৮৩ হাজার ৩০২ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।