স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করুন: কাদের সিদ্দিকী
Published: 28 Feb 2008 06:44 AM BdST Updated: 28 Feb 2008 06:44 AM BdST
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম) আদালতের দিকে তাকিয়ে না থেকে স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপের শেষ দিনে মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী এ আহবান জানান।
ঢাকা, ফেব্র"য়ারি ২৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) -- কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম) আদালতের দিকে তাকিয়ে না থেকে স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপের শেষ দিনে মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী এ আহবান জানান।
তিনি বলেন, "জামায়াত ইসলামী স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত দল। তারা রাজনৈতিক স্বীকৃতি পাবে কেন? ধর্ম করলে রাজনীতি করা যাবেনা তা নয়। যুদ্ধাপরাধী ও ধর্মীয় দল এক কথা নয়।"
জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী প্রতীক দাঁড়িপাল্লার বিরোধিতা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, "কোরানেও দাঁড়িপাল্লা ন্যায়বিচার ও সত্যের প্রতীক। এটি একই সঙ্গে একটি ধর্মীয় প্রতীক।"
তিনি একে নির্বাচনী প্রতীক থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক সংলাপ ৯০ ভাগ সফল হয়েছে এমন মন্তব্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, সংলাপ শতভাগ বিফলে যাবে যদি বিএনপির সঙ্গে আলোচনা না হয়।
সঠিক বিএনপি কোনটি তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয় বলেও মন্তব্য করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ প্রধান । তিনি বলেন, "বিএনপির দুই দলকেই সংলাপে বসার জন্য নির্বাচন কমিশন চিঠি দিতে পারতো।"
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এটিএম শামসুল হুদা বলেন, "বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাইনা।..কোনো দল ভেঙে যাক আমরা সেটা চাই না।"
তারা 'দলীয় ঝগড়াঝাটির' মধ্যে জড়াতে চান না বলেও মন্তব্য করেন সিইসি।
যুদ্ধাপরাধীদের প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, "আমরা এরই মধ্যে খসড়া আইনে প্রস্তাবে এনেছি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ হতে হবে। দন্ডিত প্রার্থী কোনো নির্বাচনেই অংশ নিতে পারবে না।"
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা, নির্দিষ্ট জায়গায় পোস্টার লাগানোর সুযোগ দেওয়া, সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চালানো, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের শর্ত শিথিল করা, প্রবাসীদের সংগঠন করার অধিকার রাখা, নির্বাচনী আসন সীমানা এখনই পুন:নির্ধারন না করা ইত্যাদি।
সংলাপে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ১০ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল অংশ নেন। এত অপর দুই কমিশনার ছহুল হোসাইন ও এম সাখাওয়াত হোসেনসহ ইসির অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।।
বৃহস্পতিবারই কমিশন ইসলামী ঐক্যজোট ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে সংলাপে বসবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু হয় গত ২৪ ফেব্র"য়ারি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/বিআর/আরএ/এসকে/১২৩৪ঘ.
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপের শেষ দিনে মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী এ আহবান জানান।
তিনি বলেন, "জামায়াত ইসলামী স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত দল। তারা রাজনৈতিক স্বীকৃতি পাবে কেন? ধর্ম করলে রাজনীতি করা যাবেনা তা নয়। যুদ্ধাপরাধী ও ধর্মীয় দল এক কথা নয়।"
জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী প্রতীক দাঁড়িপাল্লার বিরোধিতা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, "কোরানেও দাঁড়িপাল্লা ন্যায়বিচার ও সত্যের প্রতীক। এটি একই সঙ্গে একটি ধর্মীয় প্রতীক।"
তিনি একে নির্বাচনী প্রতীক থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক সংলাপ ৯০ ভাগ সফল হয়েছে এমন মন্তব্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, সংলাপ শতভাগ বিফলে যাবে যদি বিএনপির সঙ্গে আলোচনা না হয়।
সঠিক বিএনপি কোনটি তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয় বলেও মন্তব্য করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ প্রধান । তিনি বলেন, "বিএনপির দুই দলকেই সংলাপে বসার জন্য নির্বাচন কমিশন চিঠি দিতে পারতো।"
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এটিএম শামসুল হুদা বলেন, "বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাইনা।..কোনো দল ভেঙে যাক আমরা সেটা চাই না।"
তারা 'দলীয় ঝগড়াঝাটির' মধ্যে জড়াতে চান না বলেও মন্তব্য করেন সিইসি।
যুদ্ধাপরাধীদের প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, "আমরা এরই মধ্যে খসড়া আইনে প্রস্তাবে এনেছি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ হতে হবে। দন্ডিত প্রার্থী কোনো নির্বাচনেই অংশ নিতে পারবে না।"
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা, নির্দিষ্ট জায়গায় পোস্টার লাগানোর সুযোগ দেওয়া, সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চালানো, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের শর্ত শিথিল করা, প্রবাসীদের সংগঠন করার অধিকার রাখা, নির্বাচনী আসন সীমানা এখনই পুন:নির্ধারন না করা ইত্যাদি।
সংলাপে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ১০ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল অংশ নেন। এত অপর দুই কমিশনার ছহুল হোসাইন ও এম সাখাওয়াত হোসেনসহ ইসির অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।।
বৃহস্পতিবারই কমিশন ইসলামী ঐক্যজোট ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে সংলাপে বসবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু হয় গত ২৪ ফেব্র"য়ারি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/বিআর/আরএ/এসকে/১২৩৪ঘ.
আরও পড়ুন
-
সঙ্কট আসতে পারে, প্রস্তুত থাকতে হবে: কাদের
-
চিকিৎসার জন্য আবার ব্যাংকক গেলেন রওশন
-
হাজারটা পদ্মাসেতু করেও লাভ ‘হবে না’: ফখরুল
-
বিএনপির ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিলেন ১১ জেলার নেতারা
-
তারা ছিল ‘খাওয়া পার্টি’, দিয়ে যাচ্ছে শুধু আওয়ামী লীগ: শেখ হাসিনা
-
কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন মির্জা ফখরুল
-
বানভাসিদের জন্য সরকারি ত্রাণ ‘পর্যাপ্ত নয়’: বিএনপির টুকু
-
‘বম পার্টি’ নিয়ে মুখ খুলল জেএসএস
সাম্প্রতিক খবর
মতামত
সর্বাধিক পঠিত
- কোথায় কখন লোড শেডিং, সময় বেঁধে দেওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
- ফেইসবুকে ধর্ম নিয়ে মন্তব্য: স্কুল শিক্ষকের ৮ বছরের কারাদণ্ড
- রুট-বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ভারতকে হারাল ইংল্যান্ড
- সঙ্কট আসতে পারে, প্রস্তুত থাকতে হবে: কাদের
- গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা: হেনোলাক্স গ্রুপের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
- পিএসজির নতুন কোচ গালতিয়ে
- নিজের গায়ে আগুন দেওয়া গাজী আনিসকে বাঁচানো গেল না
- কোহলির রেকর্ড ভেঙে বাবর বললেন, ‘পরিশ্রমের ফসল’
- পদ্মা সেতুর পর যাত্রী হারিয়েছে খুলনার ট্রেন, নেই ‘ঈদ স্পেশাল’
- ‘ট্রিপল’ কীর্তিতে সোবার্স, ক্যালিস, বোথামদের পাশে অ্যান্ডারসন