জোর করে তো আনতে পারব না, তবে ডেকে যাব: সিইসি

ভোটে না যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া বিএনপি ইসির সঙ্গে আলোচনায়ও যাচ্ছে না, তবে তাদের বারবার ডেকে যাবেন বলে জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2022, 04:10 PM
Updated : 19 July 2022, 04:51 PM

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার তিনি একথা বলেন। চতুর্থ দিন বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সূচি থাকলেও দলটি ইতোমধ্যে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

মঙ্গলবারের সংলাপে আওয়ামী লীগের জোট শরিক সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া ভোটে কারও আসা, না আসা নিয়ে ইসিকে মাথা না ঘামাতে বলেন।

সিইসিকে উদ্দেশ তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। ইসির কাজ ভালো নির্বাচন করা। কোন দল নির্বাচনে এল বা না এল, এটা ইসির দেখার বিষয় নয়। বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে এসে নির্বাচন করানো কাজও নয়। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

পরে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে সবাইকে ডাকছেন তারা।

“আমরা বলেছিলাম, আমরা চেষ্টা করব নির্বাচনটা যেন ইনক্লুসিভ হয়। আমরা এখনও বলছি, আমরা চেষ্টা করে যাব, সবাই যেন অংশগ্রহণ করে। বিন্তু আমরা কাউকে জোর করে আনব না, আনতে পারবও না। আমরা আপিল করে যাব।”

বিএনপি ছাড়া ভোট অংশগ্রহণমূলক হবে না, একদিন আগেই এমন কথাও বলেছিলেন তিনি।

বিদ্যমান ব্যবস্থায়ই ইসি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবে বলে জানান সিইসি।

তিনি বলেন, “আমার কথা শুনে তো কেউ আসবে না, আমার কথায় কেউ আসবে না। জনগণ ভাববে যে ইসি যদি আবেদন করলে ভালো হত, সেরকম আমরা আবেদন করছি। নির্বাচনে এলে আমরা খুশি হব, অখুশি হব না।

“আমরা স্পষ্ট করে বলেছি- আমরা বিদ্যমান পদ্ধতি, সংবিধান, আইন বিধির মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে।”

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিন দিনে ১০টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে ইসি। বিএনপির মিত্র দল বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল নির্ধারিত দিনে সংলাপে যায়নি।

নিবন্ধিত ৩৯টি দলের সঙ্গে এ সংলাপ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে।

এনআইডিতে কোটি ভুল, ভোগান্তি কমানোর আশ্বাস

সাম্যবাদী দলের পক্ষ থেকে নাগরিকদের এনআইডি সংশোধনে হয়রানি বন্ধ ও এ অসৎ একটি শ্রেণির আর্থিক লেনদেনে জড়িতদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদকের কথায় সায় দিয়ে সিইসি বলেন, “ভুলের পরিমাণটা এত বেশি গেছে, আমার মনে হয় হাজার হাজার, লাখ লাখ নয়; কোটি (মানুষের এনআইডিতে) ভুল। আ-কার, ই-কার, ঈ-কার নিয়ে ওখানে বিপদে পড়ছে, এয়ারপোর্টে বিপদে পড়ছে, ওর সাথে মিলছে না। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে আমার বন্ধু-বান্ধব যারা আছে, ৪০-৫০টা আমি নিজেও করে দিয়েছি। হ্যাঁ, এটা সত্য বিলম্ব হচ্ছে।”

এনআইডি নিয়ে কোনো এত অভিযোগ তা এনআইডি উইং মহাপরিচালকে কাছেও জানতে চান সিইসি।

এসময় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর বলেন, “অনেক ইচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে। আবার অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে। …২০০৭ সালে যখন এনআইডি করা হয়েছিল। তখন ভেবেছিল এটা দিয়ে আর কী হবে। এখন যে এটাই গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে কেউ ভাবেনি।”

জন্মনিবন্ধন সনদ, নানা ধরনের শিক্ষা সনদের প্রসঙ্গ টেনে এ কর্মকর্তা বলেন, “আমরা মানুষকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করছি। আমাদের ভুল হচ্ছে। তবে কমিশনের নির্দেশ আমরা প্রতিপালন করার চেষ্টা করছি। আমরা সবাই চেষ্টা করছি।”