বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় আইনমন্ত্রী ও রুমিনের মধ্যে বিতর্ক হয়।
নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দ নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে রুমিন ফারহানা নির্বাচন ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করেন। এর আগে বুধবার সংসদে রুমিন বলেছিলেন, চলতি অধিবেশনকে ‘পদ্মা সেতু অধিবেশন’ বা ‘বিএনপি অধিবেশন’ বলা যায়।
রুমিনের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “আমরা নাকি এখানে (সংসদে) খালেদা জিয়াকে বকাবকি করি। আমরা নাকি পদ্মা সেতু নিয়ে বেশি বেশি কথা বলছি। এটা নাকি ছিল সংসদের কাজ। আমরা এই সংসদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আলাপ করেছি।
“পদ্মা সেতু অফকোর্স বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট অ্যাচিভমেন্ট। জাতিরর পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দেওয়ার পরে যদি কোন ঐতিহাসিক তৎপর্যপূর্ণ স্থাপনা হয়ে থাকে সেটা হচ্ছে পদ্মা সেতুর অবকাঠামো। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন।
“তো আমরা পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলব না, কী নিয়ে কথা বলব? আমরা কি ওনার (রুমিন ফারহানা) কাপড়-চোপড় নিয়ে কথা বলব? আমি তো তা করব না।”
পরে জননিরাপত্তা বিভাগের বরাদ্দের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দেন রুমিন ফারহানা।
তিনি বলনে, “যুক্তিবিদ্যার সবচেয়ে বড় ফ্যালাসি হচ্ছে যখন কোনো যুক্তি থাকে না, তখন ব্যক্তিগত আক্রমণ করা। যখন যুক্তি থাকে না, তখন ব্যক্তিগত আক্রমণ আসে।
“উনি যুক্তি না পেয়ে আমার পোশাক নিয়ে আলোচনা হবে কি না, এমন অভব্য বক্তব্য দিয়েছেন, যা আমরা আইনমন্ত্রীর কাছে আশা করি না। প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, জাতীয় সংসদের স্পিকার একজন নারী। এই বক্তব্য পুরো সংসদের জন্য লজ্জার।”