পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে যাবে না বিএনপি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 22 Jun 2022 08:12 PM BdST Updated: 22 Jun 2022 08:30 PM BdST
সরকারের আমন্ত্রণ পাওয়ার পর বিএনপি জানাল, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যাবে না তারা।
আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র বুধবার নয়া পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এরপর বিকালে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যানের কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে পদ্মা সেতুর সঙ্গে বিএনপিকে নিয়ে যে কথা বলেছিলেন, তার প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ফখরুল।
বিএনপি অনুষ্ঠানে যাবে কি না- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যারা মানুষ হত্যা করে, যারা এদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পদ্মায় ডুবিয়ে মারতে চায়, যা্রা এদেশের সবচেয়ে প্রতিথযশা এবং এদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সম্মান অর্জন করে আনা ব্যক্তি গোটা পৃথিবীতে যিনি নন্দিত মানুষ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তাকে চুবিয়ে মারতে চায়, তাদের আমন্ত্রণে বিএনপির কোনো নেতা বা কোনো কর্মী কখনোই যেতে পারে না।”
সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে নিয়ে এসেছিলেন ফখরুল।
সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম থান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
কার্ড দিয়ে পদ্মাসেতুর উদ্বোধনে বিএনপিকে দাওয়াত

“এর মধ্যে আছে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার মাওয়া প্রান্তে সেতুর কার্য্ক্রম বন্ধ করে দেয় এবং জাপান সরকারকে পুনরায় মানিকগঞ্জের আরিচা প্রান্তে সেতুর জন্য সমীক্ষা করতে বলেন।”
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ২০০৪ সালে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “জাপান ইন্টারন্যাশনাল কপোরেশন এজেন্সির পূর্ণাঙ্গ ফিজিবিলিটি রিপোর্ট যেটা হচ্ছে, মাওয়া এবং জাজিরা প্রান্তের যেটা বর্তমানে আছে। এই রিপোর্টের কপিও আছে আমাদের কাছে, আপনারা চাইলে দেখতে পারেন।
“একটা ফিজিবিলিটি রিপোর্ট অফিসিয়ালি দেওয়ার পরেও কী করে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলতে পারেন যে, বিএনপি গভর্নমেন্ট আসার পর এটাকে বন্ধ করে দেয় এবং কোনো কাজ করেনি। এই ফিজিবিলিটি রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই তো তারা পরবর্তীকালে কাজ করেছেন। অথচ তিনি সমানে বলে যাচ্ছেন বিএনপি সরকার এটা বন্ধ করে দিয়েছিল।”
ফখরুল বলেন, “সমস্যাটা হচ্ছে অন্য জায়গায়। কাজ শুরু করার পরে বিশ্ব ব্যাংক যখন ফান্ড বন্ধ করে দিল দুর্নীতির কথা বলে, তখন থেকেই সমস্যাটা শুরু হয়েছে। সেটার জন্য তিনি বিএনপিকে দায়ী করেন, ড. ইউনুসকে দায়ী করেন। কোথায় পেলেন তিনি? কীভাবে দেখলেন যে দুর্নীতির কথা বিএনপি বা ড. ইউনুস তুলেছে।বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির কথা তোলার পরই দেশবাসী জানল, আমরা জানলাম, সেখানে দুর্নীতি হচ্ছে।
“সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সত্যের অপলাপ এবং বিএনপিকে জনগণের সামনে হেয়-প্রতিপন্ন করার চেষ্টা। এগুলোর কোনোটাই কাজ হবে না। কারণ দেয়ার আর টুলস অ্যান্ড ডুকমেন্টস।”
পদ্মা প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট এখন ৩০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।”
সর্বাধিক পঠিত
- শিক্ষককে পিটিয়ে খুন: মামলায় জিতুর বয়স ১৬, র্যাব বলছে ১৯
- সিরাজগঞ্জে অস্ত্র হাতে ‘ভাইরাল’ সেই বায়েজিদ পিস্তলসহ গ্রেপ্তার
- পদ্মা সেতু: যশোর তাকিয়ে কালনা সেতুর দিকে
- বাঘাইড় বিক্রি করায় সুপার শপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
- ‘ইউভেন্তুসে বেনজেমা-মদ্রিচের মতোই খেলবে দি মারিয়া’
- বান্ধবীর সামনে ‘হিরো হতে’ শিক্ষককে পেটান জিতু
- জর্দার পোটলা নিয়ে হজে, ভোগালেন সহযাত্রীদেরও
- মুমিনুলকে আবার উইন্ডিজে দেখতে চান বিসিবি প্রধান
- গ্রামীণফোনের নতুন সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
- পাহাড়ে সশস্ত্র দল; এই ‘বম পার্টি’ কারা?