সিইসির কাছে বাহার এখন ‘অতীত’

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তাপ ছড়ানো সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারে প্রসঙ্গটি ভোটগ্রহণ শেষের সঙ্গে সঙ্গেই চাপা দিতে চাইছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2022, 02:53 PM
Updated : 15 June 2022, 02:53 PM

তার ভাষ্যে, “মাননীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বিষয়টা আমার দৃষ্টিতে পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।”

বুধবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এলে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় একথা বলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেন, “বাহার সাহেবের ম্যাটার নিয়ে আমরা অনেক আলোচনা করেছি, আপনারা করেছেন। নির্বাচন পরিসমাপ্ত হয়েছে। এখন এই বিষয়টা নিয়ে কোনো রকম মন্তব্য আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি করব না।”

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতা বাহারকে এলাকা ছাড়তে বলেছিল ইসি। কিন্তু তা উপেক্ষা করে এলাকায়ই থেকে যান তিনি, যা নিয়ে নির্বাচন কমিশনাররা হতাশা প্রকাশ করেছিলেন।

বাহার বুধবার ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তাকে এলাকা ছাড়তে ইসির চিঠি দেওয়ার এখতিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তোলেন।

তিনি বলেন, একজন সংসদ সদস্যকে ইসি এমন নির্দেশ দিতে পারে না। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনে তিনি সংসদে প্রস্তাব তুলবেন।

স্থানীয় সরকারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, “কেউ যদি বলে থাকেন, আমরা সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবো। আইন সংশোধনের বিষয়টা একটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস। অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তা দেখতে হবে।”

আইন অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা প্রচারে নামতে পারেন না।

বাহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি কুমিল্লায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ইসিতে এমপি বাহারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেছিলেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম দফায় বাহারকে সতর্ক করেছিল ইসি। এরপর তাকে এলাকা ছাড়তে চিঠি দিয়েছিল। এনিয়ে আদালতেও যান বাহার।