সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা

ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2022, 09:15 AM
Updated : 15 June 2022, 09:15 AM

মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে বুধবার দুপুরের দিকে তাকে কেবিনে নেওয়ার কথা জানান খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, “মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারসহ কার্ডিওলিজস্টরা সিসিইউতে ম্যাডামকে দেখেছেন। তারপর উনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, ম্যাডামকে কেবিনে রেখে পরবর্তী ফলোআপগুলো করা হবে।

“সেজন্য হাসপাতালের সিসিইউর যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা আছে সেগুলো কেবিনে সেট করে দুপুরে ম্যাডামকে কেবিনে শিফট করা হয়েছে।”

জাহিদ হোসেন বলেন, “কেবিন থেকে উনাকে পর্যবেক্ষণ করা হবে, মনিটরিং করা হবে। তার অবস্থার ওপর ভিত্তি করে মেডিকেল বোর্ড পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।”

বিকাল ৫টায় খালেদার ওই মেডিকেল বোর্ড বসবে বলে জানান তিনি।

৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বুকে ব্যথা নিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার এনজিওগ্রাম করে তার হৃদযন্ত্রে একটি স্টেন্ট বসানো হয়।

একটি ব্লক অপসারণ করা হলেও খালেদা জিয়ার হৃদপিণ্ডে আরও দুইটি ব্লক ধরা পড়ার কথাও জানিয়েছেন চিকিতসকরা।

এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা কার্য্ক্রম পর্যবেক্ষণ করছে।

২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এ নিয়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ দফা ঢাকার বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে।

২০২১ সালে একবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেই দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠাতে কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। কিন্তু সাময়িক মুক্তির শর্তের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।

আরও খবর