তার চিকিৎসায় গঠিত এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড সোমবার বিকালে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, “আজকে মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামের সর্বশেষ অবস্থা এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করেছেন। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, উনাকে আরও কিছুদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখবেন।”
এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে মেডিকেল বোর্ডের সোমবারের বৈঠকে ১৯ সদস্যের মধ্যে সাতজন উপস্থিত ছিলেন।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বুকে ব্যথা নিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার এনজিওগ্রাম করে তার হৃদযন্ত্রে একটি স্টেন্ট পরানো হয়।
ডা. জাহিদ বলেন, “ম্যাডামের এনজিওগ্রাম করার পর মেডিকেল বোর্ড ৭২ ঘণ্টার অবজারভেশনে রেখেছেন, সেটা শেষ হবে আগামীকাল। আগামীকালও বিকাল ৫টায় মেডিকেল বোর্ড বসবে। এটা নিয়মিত বৈঠক। চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন।”
একটি অপসারণ করা হলেও খালেদা জিয়ার হৃদপিণ্ডে আরও দুটি ব্লক ধরা পড়ার কথাও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এ নিয়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ দফায় ঢাকার বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হল।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে।
২০২১ সালে একবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেই দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠাতে কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। কিন্তু সাময়িক মুক্তির শর্তের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।