খালেদার এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত

হৃদযন্ত্রে সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে তার চিকিৎসায় এভারকেয়ার হাসপাতালের গঠিত মেডিকেল বোর্ড।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2022, 07:36 AM
Updated : 11 June 2022, 08:07 AM

শনিবার দুপুরে মেডিকেলে বোর্ডের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, “ম্যাডামের একুয়েট করোনারি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে অতি দ্রুত তার হৃদযন্ত্রে এনজিওগ্রাম করার

“একই সঙ্গে মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণে পরিবারের সদস্যদের ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।”

কখন এই এনজিওগ্রাম করা হবে জানতে চাইলে বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানান, দুপুর আড়াইটা নাগাদ এনজিওগ্রাম করার সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের এই মেডিকেল বোর্ডে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোমিন-উজ জামান ও অধ্যাপক সামস মনোয়ার রয়েছেন।  

সকাল সাড়ে ১০টায় মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এই বৈঠকে যোগ দেন।

ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, “এই মুহূর্তে ম্যাডামের অবস্থা স্থিতিশীল। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে বিশেষ করে এনজিওগ্রাম করার পরে বোঝা যাবে, সমস্যাটা কতটা জটিল। এমনিতেই তো বিভিন্ন অসুখে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ একজন রোগী।”

৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এ নিয়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ দফায় ঢাকার বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হল।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে।

২০২১ সালে একবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।

শুক্রবার মধ্য রাতে খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের গাড়িতে তাকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়।

বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেই দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠাতে কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। কিন্তু সাময়িক মুক্তির শর্তের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।

আরও পড়ুন