হামলার পরিণতি ‘শুভ হবে না’: মোশারফের হুঁশিয়ারি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের 'সন্ত্রাসী হামলা'র পরিণতি শুভ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2022, 08:57 AM
Updated : 28 May 2022, 06:37 AM

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, “আজকে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের লাঠি দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে সমর্থন দিয়ে তাদের (ছাত্রলীগ) লেলিয়ে দিচ্ছেন, আপনারা (ক্ষমতাসীনরা) আপনাদের কথা চিন্তা করেন।

“যারা করছে, তাদের পরিণতি কি হবে অতীতে আমাদের কাছে বহু উদাহরণ রয়েছে। এর পরিণতি শুভ হবে না "

এই বিএনপি নেতার ভাষায়, আওয়ামী লীগ সরকার এখন ‘চতুর্দিকে ঘেরাও’ হয়ে গেছে, আন্তর্জাতিকভাবে তারা ‘বিচ্ছিন্ন, সমর্থনশূন্য’, দেশের মানুষ তাদের ‘প্রত্যাখান’ করেছে।

“তখন তারা এই গুণ্ডামি, এই সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। … আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছে, সারা বাংলাদেশে তারা আন্দোলনের সূচনা করেছে। সারাদেশে এই আন্দোলন হবে। কয় জায়গায় আপনারা এই সন্ত্রাসীদের পাঠাতে পারবেন?”

বিএনপির প্রত্যেককে ছাত্রদলের ‘ভাই অথবা অভিভাবক’ হিসেবে বর্ণনা করে মোশাররফ হোসেন বলেন, “আমরা বলতে চাই, এই ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এদেশের মানুষের সন্তান, তাদের অভিভাবকরা আজকে প্রস্তুত হচ্ছে। অভিভাবকরা কেউ বসে থাকবে না।

“ছাত্রদল রাস্তায় আন্দোলনের সূচনা করেছে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, আজকে যে দেশের সংকট তার সমাধান হবে রাজপথে।"

ছাত্রদলের আন্দোলন সামনে এগিয়ে নিতে ‘গণতান্ত্রিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে’ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

ভোটে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতায় দলের অবস্থান তুলে ধরে মোশাররফ বলেন, “নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যে ভোট হবে, সেখানে ইভিএমে ভোট চলবে না। নিজের হাতে ভোট দিয়ে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে।"

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আজকে আমাদের সামনে একটি দাবি, যদি দেশকে শ্রীলঙ্কার মত, শ্রীলঙ্কার রাস্তার মত দেখতে না চান, তাহলে এই গায়ের জোরের সরকারকে বলব, আপনারা অবিলম্বে পদত্যাগ করেন...।”

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে মোশাররফ হোসেন বলেন, “আজকে যিনি প্রধানমন্ত্রী, তার ঘুম হয় না। ঘুম হয় না বলেই এ প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এদেশের গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতুর ওপর থেকে টুস করে ফেলে দেবেন। এই কথা..."

“এই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে পদ্মা নদীতে দুই বার চুবিয়ে উঠিয়ে ফেলবেন, মেরে ফেলবেন বলেন নাই। বাঁচিয়ে দেবেন বলেছেন। আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ওই নদীতে ফেলে দেবেন বলেছেন…।”

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র দলের নেতা-কর্মীর ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

মহানগর উত্তরের সভাপতি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন বক্তব্য দেন।

অন্যদের মধ্যে আবদুস সালাম আজাদ, নাজিম উদ্দিন আলম, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী, কামরুজ্জামান রতন, শিরিন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, শামীমুর রহমান শামীম, রাজিব আহসান, হাসান জাফর তুহিন, সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, হেলেন জেরিন খান বক্তব্য দেন।