এক বছর পর খালেদার দেখা পেলেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা

প্রায় এক বছর পর ঈদের দিনে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2022, 05:13 PM
Updated : 3 May 2022, 05:13 PM

বুধবার রাত আটটার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সাত সদস্য।

এক ঘণ্টা তারা সেখানে ছিলেন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ‘ফিরোজা’র দোতলায় দলীয় প্রধানের সঙ্গে তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে রাত নয়টায় বের হয়ে এসে সাংবাদিকদের জানান মহাসচিব।

এসময় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ছিলেন।

এর আগে ঈদের দিন সকালে খালেদার বোন সেলিমা ইসলাম ও ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার তার বাসায় যান। তাদের নিয়ে তিনি দুপুরের খাবার খান।

সর্বশেষ ২০২১ সালের কোরবানির ঈদের দিন খালেদা জিয়ার দেখা পেয়েছিলেন এই নেতারা। গত রোজার ঈদে বিএনপি চেয়ারপারসন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত থাকায় দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা হয়নি।

সাক্ষাত শেষে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, “এ সাক্ষাৎ আমরা পূর্বেও করেছি যখন তিনি কারাগারে ছিলেন না, গৃহে অন্তরীণ ছিলেন না। ওই সময় প্রতিবছরই আমরা ঘরের ভেতরে না, ঘরের বাইরে লনে বসে ঈদের দিনে আমরা সাক্ষাৎ করতাম, শুভেচ্ছা বিনিময় করতাম।

“আমাদের এবারকার এই সাক্ষাৎ নিসন্দেহে খুব বেশি আনন্দময় ছিল না। আনন্দময় যতটুকু ছিল এজন্য যে, প্রায় বছর খানেক পর আমরা তার সঙ্গে দেখা করতে পারলাম, তার কথা শুনতে পারলাম।“

সবসময় খালেদা দেশবাসীর কথা চিন্তা করছেন জানিয়ে ফখরুল বলেন, “সবসময় তিনি সেটা কাগজপত্রে পড়ছেন, নানা জায়গায় পড়েছেন। তারপরও তিনি আমাদের কাছ থেকে শুনেছেন এবং তার যে উদ্বেগ সেই উদ্বেগ তিনি প্রকাশ করেছেন।”

দেশবাসীকে ঈদের ‍শুভেচ্ছা

খালেদা জিয়া দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেছেন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন এবং তিনি দেশবাসীর জন্য দোয়া করছেন।

“এদেশের মানুষ যেন ভালো থাকে, সুস্থ থাকে। গণতন্ত্রকে ফিরে পায়, মানুষ তার অধিকার ফিরে পায়- এই প্রার্থনাও তিনি করেছেন।“

খালেদার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘তিনি (খালেদা) এখনও সুস্থ নন। ডাক্তাররা আছেন তারা এই বিষয়ে বলতে পারবেন। এইটুকু আমি বলতে পারি যে, এখনও তিনি অত্যন্ত অসুস্থ আছেন। এখনও হেঁটে খাবার টেবিলে যেতেও তার খুব কষ্ট হয়। এটাই বাস্তবতা। তাহলেই আপনারা বুঝতে পারবেন তিনি কেমন আছেন।”

দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাস সংক্র্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়া হয় তাকে।

এরপর থেকে গুলশানের ওই বাসায় থাকছেন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ৭৬ বয়সী খালেদা জিয়া। যেখানে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক কেউই নেত্রীর সাক্ষাত পান না।