শাবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান ওয়ার্কার্স পার্টির

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অপসারণ চেয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি; একইসঙ্গে উপাচার্য নিয়োগ পদ্ধতি ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2022, 12:57 PM
Updated : 24 Jan 2022, 12:57 PM

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক এই দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম পলিটব্যুরো সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের রবার বুলেট, লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড হামলা ছিল ‘অপ্রয়োজনীয়’।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকে উপাচার্যসহ প্রশাসনের সার্বিক ব্যর্থতা বলেও বিবৃতি উল্লেখ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “দীর্ঘদিন থেকেই বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। তাই বিষয়টিকে গভীরভাবে পর্যালোচনা করা উচিৎ। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের সময় উপাচার্যের শিক্ষাগত যোগ্যতা, নৈতিক বোধ, প্রশাসনিক যোগ্যতা বিচারের চেয়ে রাজনৈতিক দলের আনুগত্যকে প্রাধান্য দেবার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও গবেষণার মান, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে; শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলির প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের মনেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে, শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে, যার ফলশ্রুতিতে সামান্য কারণেই সহিংস ঘটনা ঘটছে। তাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ পদ্ধতিকেও ঢেলে সাজানো উচিৎ।”

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা।

এ সময় তাদের তিনটি দাবির মধ্যে ছিল- প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগ, হলের অব্যবস্থাপনা দূর করে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং দ্রুত ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া।

পরে গত রোববার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

এরপর ওইদিন বিকালে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েনের প্রতিবাদ করলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয় পুলিশ।

ধাওয়া-পাল্টার একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে, কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষা করে উল্টো উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের একপর্যায়ে আর শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে অনশন শুরু করেন, যা সোমবার ষষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে।

ওয়ার্কার্স পার্টি বিবৃতিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে কালবিলম্ব না করার আহ্বান জানায়।

আরও পড়ুন-