রোববার দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় সূচি অনুযায়ী সোমবার বিকাল ৪টায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে তারা মতবিনিময়ে অংশ নেবেন।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সঙ্গে থাকবেন- দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধী বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। নতুন কমিশন গঠনের জন্য রাজনেতিক দলগুলোর মতামত জানতেই রাষ্ট্রপতির এ সংলাপ।
গত ২০ ডিসেম্বর সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে বঙ্গভবনে এবারের সংলাপের খাতা খোলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়েই শেষ হবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির এবারের সংলাপ।
আলোচনা শেষ হওয়ার পর গঠন করা হবে ‘সার্চ কমিটি’। এই কমিটি নতুন ইসি গঠনের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করবে রাষ্ট্রপতির কাছে।
সেই প্রস্তাব থেকে বেছে নিয়ে পাঁচ বছরের জন্য নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেবেন রাষ্ট্রপতি। সেই কমিশনের অধীনেই ২০২৩ সালের শেষে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেন। এক মাসের এই সংলাপে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৩১টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।
এবার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপ্রধান মো. আবদুল হামিদের আহ্বানে প্রায় এক মাস ধরে চলা এই সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয় ৩২টি রাজনৈতিক দলকে। ইতোমধ্যে ২৪টি দলের সঙ্গে আলোচনা শেষ হয়েছে।
আগের সংলাপগুলোতে অংশ নেওয়া বিএনপি এবার রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে সাড়া দেয়নি। এছাড়া সিপিবি, বাসদ, জেএসডিসহ সাতটি দল এ সংলাপে অংশ নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
সংলাপে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ দলই ইসি গঠনে সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনের কথা বলেছেন। সংলাপে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রসঙ্গও তুলেছেন কেউ কেউ।
সাংবিধানিক সংস্থা ইসির সদস্যদের নিয়োগে আইন স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও না হওয়ায় প্রতিবারই ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে মতভেদ তৈরি হয়। জটিলতা এড়াতে গত দুবার সার্চ কমিটির ব্যবস্থা হলেও বিতর্ক থামেনি।
আরও পড়ুন: