নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ রেলগেইট এলাকার বঙ্গবন্ধু সড়কে শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
আইভী বলেন, “দুষিত, কলঙ্কিত নারায়ণগঞ্জ সিটিতে মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করতে আমি এসেছি। টানা দশ বছর ধরে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত আছি। আপনারা আমাকে চেনেন। ২০১১ সালে আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন, ২০১৬ সালেও আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন।
“আবারও অন্যায়, অবিচার, খুনি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শান্তির বার্তা নিয়ে লড়তে এসেছি। আমাকে কেউ ফিরিয়ে দেবেন না। নৌকাকে ঠেকানোর কেউ নেই।”
আইভি বলেন, ত্বকী ও চঞ্চল হত্যাকাণ্ডসহ নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনার বিচারের জন্য জীবন বাজি রেখেছেন।
“ঘর সংসারের দিকে তাকাই নাই, এসেছি আপনাদের সেবা করতে, নিশ্চয়ই আমাকে আপনারা বিমুখ করবেন না। আমার বাবার মতো আপনাদের খেদমত করার সুযোগ দিন আমাকে।
“এই শহরের মাটি ও মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমার বাবা আলী আহাম্মদ চুনকাও এই শহরের মাটি ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন।”
সবাইকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে আইভী বলেন, “নিশ্চই আপনারা শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। পরিবেশবান্ধব, নারী-শিশুবান্ধব নগরী, সন্ত্রাস মুক্ত নগরীতে নৌকার ১৬ তারিখে বিজয় সুনিশ্চত।”
এই নির্বাচন পরিচালনার কমিটির সমন্বয়ক আওয়ামী লীগে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “এই শহরে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে আইভী, শান্তির প্রতীক আইভী।”
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, “নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই নগরীকে সন্ত্রাসের নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ষড়যন্ত্রকারীরা, অপশক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে; এদেরকে প্রতিহত করুন।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, উন্নত, সমৃদ্ধ এবং আধুনিক নগরী হিসেবে উন্নয়নের চাকা সচল রাখার জন্য আইভীকে বিজয়ী করতে হবে।
“এই নগরীতে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, কিশোর গ্যাং সৃষ্টিকারীদের’ বিরুদ্ধের প্রার্থী আইভী।”
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কেন্দ্রীয় সদস্য পারভিন জামান কল্পনা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবদুল হাই বক্তব্য দেন।