বৃহস্পতিবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “শিগগিরই বিষয়টি জানানো হবে।”
সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে ১১টি ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সরকার। তাতে উন্মুক্ত স্থানে যে কোনো সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতির দাবিতে দেশের ৪০ জেলায় ৮ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সমাবেশের ঘোষণা রয়েছে বিএনপির।
বিধি-নিষেধের মধ্যে দলের কর্মসূচি চলবে কিনা জানতে চাইলে রিজভী বলেন, “আমাদের কর্মসূচি এখনও যেটা চলমান রয়েছে। এরপরে যদি কিছু হয়... আমাদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ কথা বলে আপনাদেরকে জানাবেন।”
এর আগে মঙ্গলবার বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কোভিড-১৯ এবং ওমিক্রনের বিস্তার রোধের কথা বলে ১০ জানুয়ারি সরকার যে নির্দেশাবলী জারি করেছে, তাতে ঘরোয়া পরিবেশে সভা-সমাবেশের সুবিধা বহাল রেখে উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে বিএনপি স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের সরকারি অপপ্রয়াস বলে মনে করে।”
সেই প্রসঙ্গ ধরে বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, “আওয়ামী লীগের লক্ষ্য বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করা।… আওয়ামী শাসনের ছত্রে ছত্রে শুধু পৈশাচিকতা ও বিভীষিকার উপস্থিতি। এরা গুমের কর্মসূচির বৃত্তের মধ্যে ভয়ংকর নাৎসীবাদী পন্থায় অপশাসন চালিয়ে যাচ্ছে। এই সরকারের হাত থেকে এখন জনগণ মুক্তি চায়।
“আমাদের সভা-সমাবেশগুলোতে মানুষে ঢল নামছে। ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে জনস্রোত নেমে আসছে রাজপথে। জনগণ এখন সংশপ্তক অঙ্গীকার-জীবন দিয়ে হলেও এই মাফিয়াদের হটিয়ে দেশের মানুষকে মুক্ত করবেই।”
অন্যদের মধ্যে মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফ আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।