চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ছাত্রলীগের ৭৪ বছর

বাঙালি জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে প্রতিষ্ঠার ৭৪ বছর পূর্ণ করছে মঙ্গলবার।

রাসেল সরকারবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2022, 04:09 PM
Updated : 3 Jan 2022, 07:03 PM

ভারত ভাগের পর ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে ‘পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ’ নাম নিয়ে শুরু করা সংগঠন ধাপে ধাপে পাল্টে স্বাধীনতার পর ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামধারণ করে।

পাকিস্তান আমলে ছাত্র অধিকার আন্দোলন ও স্বাধিকার আন্দোলনসহ জাতির সংকটকালে রাজপথে ছাত্রলীগ ছিল নেতৃত্বের ভূমিকায়; স্বাধীনতা যুদ্ধে ও দাবি আদায়ের সংগ্রামে ঝরে গেছে বহু নেতাকর্মীর প্রাণ। স্বাধীন বাংলাদেশেও সামরিক শাসনবিরোধী লড়াইয়েও ছাত্রলীগের সোচ্চার ভূমিকা ছিল।

নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। নানা ঘটনায় সমালোচনায় পড়তে হয় সংগঠনটিকে।

গত কয়েক বছরে নানা বিতর্কে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্ব পরিবর্তন হলেও কমিটি বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এখনও উঠছে সংগঠনের ভেতর থেকেই।

বিতর্ক ছাড়ছে না

২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের পর ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদি কমিটি গঠিত হয়েছিল।

পদ পেয়ে টাকার বিনিময়ে কমিটিতে পদ দেওয়া, বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ডসহ সর্বশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগে ২০১৯ সালে শোভন-রাব্বানীকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

এরপর আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদেরকে পূর্ণাঙ্গ নেতৃত্বের ক্ষমতা দেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

দায়িত্ব পেয়েও সাংগঠনিক দায়িত্ব ভাগ করে না দেওয়া, নিয়মিত সাধারণ সভা না করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কমিটিসহ ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ শাখাগুলোতে সমম্মেলন করে নতুন কমিটি ঘোষণা না করায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার অভিযোগ, বিতর্কের মুখে পদচ্যুত শোভন-রাব্বানীর পথেই হাঁটছেন জয় ও লেখক।

শীর্ষ পদে আসার পর ছাত্রলীগ সভাপতি জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখকের সম্মেলন না করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা ও কেন্দ্রীয় পরিষদের মতামত ছাড়া দুজনের সিদ্ধান্তে সংগঠন পরিচালনা ফের বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৫ দিনব্যাপী নানা বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ। তবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কোনো প্রস্তুতি সভা বা সাধারণ সভা করেনি সংগঠনটি।

কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সোহান খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছাত্রলীগ সব সময় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ৭ থেকে ১০ দিন আগে প্রস্তুতি সভা ও সাধারণ সভা করে থাকে, যাতে সারাদেশে বিভিন্ন ইউনিটে সুষ্ঠুভাবে কর্মসূচি পালন করা যায়; সভায় সাংগঠনিক বিভিন্ন পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হয়।

“কিন্তু রেওয়াজ অনুযায়ী এবার সেটি করা হয়নি। সভা না করার একটিই কারণ, সেখানে তাদের অনিয়ম নিয়ে কথা উঠবে, নতুন করে সম্মেলনের দাবি উঠবে।”

সোহান বলেন, শুধু সম্মেলনের আগে প্রস্তুতি সভাই নয়। দুই মাস বিরতিতে যে সাধারণ সভা হওয়া কথা, সেটিও হচ্ছে না।

“রাতের আঁধারে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা দেয়। প্রেস রিলিজ বলতে দুজন একসঙ্গে বসে, প্রয়োজনবোধ করলে মতামত নেয়, না হলে নিজেদের মতো করে দিয়ে দেয়।”

আরেক সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শামীম বলেন, এটা সবচেয়ে দুঃখজনক, অপ্রীতিকর ও বিব্রতকর যে, ছাত্রলীগের কোনো কমিটি হবে, কিন্তু সম্মেলনের মাধ্যমে হবে না।

“ছাত্রলীগের কোনো জেলা, বিশ্ববিদ্যালয় বা যে ইউনিটের কমিটি হতে হলে সেখানে সম্মেলন হবে, প্রার্থীরা আসবে, সিভি সংগ্রহ করা হবে, এবং ত্যাগ ও আদর্শ বিবেচনায় সবার মতামত নিয়ে কমিটি করা হবে- সেটাই নিয়ম।”

বর্তমান দুই শীর্ষ নেতা সংগঠনকে ‘একেবারে নাজুক পরিস্থিতিতে’ ফেলেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “নির্বাহী সংসদের সাথে সমন্বয়হীনতা, একক সিদ্ধান্তে সংগঠন পরিচালনা করতে গিয়ে আজকে ছাত্রলীগকে পরিকল্পিতভাবে দুর্বল করা হয়েছে।”

‘সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ব্যক্তিস্বার্থ অদায়ের জন্য’ প্রেস রিলিজের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা দেয় বলে অভিযোগ এই নেতার।

তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক যে কমিটিগুলো হচ্ছে, সেখানে অনৈতিক লেনদেন হচ্ছে, অর্থের বিষয়টা কিন্তু গণমাধ্যমে খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে।”

সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মুন্সিগঞ্জ ও ময়মনসিংহের কমিটি নিয়ে সমালোচনা ও বিতর্ক ও সমালোচনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন সোহান।

তিনি বলেন, “এই ধরনের কর্মকাণ্ডে বিন্দুমাত্র দায়বদ্ধতা বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে নাই। এধরনের কর্মকাণ্ড আমাদের জন্য লজ্জাজনক।”

সহ-সভাপতি সৈয়দ মো. আরিফ হোসেন বলেন, সংগঠন পরিচালনায় গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক ‘নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য স্বজনপ্রীতি ও নিজস্ব বলয়ে’ সংগঠন পরিচালনা করছেন।

“বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ছাত্রলীগ বারবার খারাপ সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে। স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের যে কর্মযজ্ঞ তারা শুরু করছেন, তা কখনোই প্রত্যাশিত ছিল না।”

সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শামীম বলেন, “অনেক আশা ভরসা নিয়ে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ২৯তম জাতীয় সম্মেলনে একটি সুন্দর কমিটি দিয়েছিলেন, সেই  কমিটি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, সেই ব্যর্থতার ফলশ্রুতিতে জয় এবং লেখক দায়িত্ব পায়, কিন্তু শোভন-রাব্বানী থেকে তারা বিন্দুমাত্র শিক্ষাগ্রহণ করেনি।”

সোহান বলেন, “৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শতভাগ ছাত্রলীগ কর্মীর প্রত্যাশা- নতুন সম্মেলন। হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া।”

‘তবে দুই নেতার ভয়ে বা কমিটিতে জায়গা পাওয়ার আশায়’ অনেকেই মুখ ফুটে কিছু বলছেন না বলে তার ভাষ্য।

মেয়াদোত্তীর্ণ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলন কবে?

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে দুই বছর পর পর জাতীয় সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্বাচনে কথা বলা হলেও চার বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে সর্বশেষ ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের; তবে জয়-লেখকের পূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার দুই বছর হচ্ছে। নতুন সম্মেলনের তারিখ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছেন ছাত্রলীগ নেতারা।

ছাত্রলীগের ৭৪ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় দিন রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের বিষয়ে সংগঠনটির অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দেবেন বলে প্রত্যাশা ছাত্রলীগ নেতাদের।

সহ-সভাপতি মাজহারুল বলেন, “৩০তম জাতীয় সম্মেলন আসন্ন, ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে আমি প্রত্যাশা রাখি, অতীতে ভুল-ত্রুটি শুধরে নিয়ে সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি করবে।

“ছাত্রলীগকে যাতে সঠিক পথে পরিচালিত করা যায়, সেই লক্ষ্যে একটি সুন্দর ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং দক্ষ নেতৃত্ব উপহার দেবে, আমাদের অভিভাবক দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে আমাদের সেই প্রত্যাশা থাকবে।”

আরেক সহ-সভাপতি শওকতুজ্জামান সৈকত বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা, নতুন সম্মেলন হোক, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক গতিশীলতা আসুক। কমিটিগুলো নিয়মতান্ত্রিকভাবে দেওয়া হোক।

“প্রেস রিলিজের মাধ্যমে কমিটি দেওয়া বেমানন। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে কমিটি দিলে সংগঠনের দায়বদ্ধতা থাক না। সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি দেওয়া ঐতিহ্য, এতে ছাত্রলীগের স্পিরিট বাড়ে, নবীনরা ছাত্র রাজনীতিতে আগ্রহ পায়।”

এসব অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে দুদিন ধরে একাধিকার ফোন ও এসএমএস পাঠানো হলেও তার সাড়া মেলেনি।

তবে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা শেখ হাসিনার নির্দেশনামতে সংগঠন পরিচালনা করে থাকেন।

“যেহেতু আমরা দায়িত্ব পাওয়ার সময় সকল কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ ছিল, যেসব জায়গায় সম্মেলন করার পরিবেশ ছিল না, সেখানে আমরা অন্য সাংগঠনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নতুন কমিটি করেছি, আরও কিছু কমিটি করার প্রক্রিয়াধীন আছে।”

এছাড়া করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ‘সম্মেলন করার পরিস্থিতি’ না থাকার কথা তুলে ধরে লেখক বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম বন্ধ ছিল, এখন যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলেছে, সকল কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে হবে।

“জাতীয় সম্মেলনের বিষয়ে আমাদের কারও কিছু বলার সুযোগ নাই। ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন যা করতে আমাদের নির্দেশ দেবেন, তখন আমরা তা করব।”

৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি

ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পাঁচ দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ৪ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, সকাল ৯টায় কার্জন হলে কেক কাটা এবং দুপুর ২টায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন ও আনন্দ শোভাযাত্রা রয়েছে।

৫ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত থাকবেন আওয়ামী লীগের দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সম্প্রচার হবে প্রতিটি জেলা, মহানগর ও উপজেলার দলীয় কার্যালয়ে।

৬ জানুয়ারি বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসংলগ্ন স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে পথশিশুদের মাঝে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ, বিকাল ৩টায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হবে।

এছাড়া ৭ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, ৮ জানুয়ারি বেলা ১১টায় ঢাবির অপরাজেয় বাংলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঘোষিত কর্মসূচি যথাযথ মর্যাদায় পালন করতে ইউনিটের (জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শাখা) নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।