তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন। তা থেকে পদচ্যুত হয়েছেন তিনি। তবে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ তার থেকেই যাচ্ছে।
সোমবার দুপুরে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত অব্যাহতিপত্র তৈমুর আলম খন্দকারের কা্ছে পাঠানো হয় বিশেষ বাহকের মাধ্যমে।
রিজভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনার (তৈমুর আলম খন্দকার) নাম চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এ্টা দলের সিদ্ধান্ত।”
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির।
তবে তৈমুরের কাছে পাঠানো চিঠিতে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার কোনো কারণ দেখানো হয়নি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তৈমুর আলম খন্দকার দলের সিদ্ধান্ত মানেননি। কারণ দল এই সরকারের অধীনে স্থানীয় ও জাতীয় কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। সেখানে উনার মতো একজন উপদেষ্টা পদে সদস্য হয়ে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। সেই কারণে তাকে সেই পদ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।”
২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনের পর তৈমুর আলম খন্দকারকে দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করা হয়।
আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতি প্রতীকে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন তৈমুর। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট করছেন।
ভোটে প্রার্থী হওয়ার পর তৈমুর বলেছিলেন, জনগণের ‘চাহিদা ও প্রয়োজনে’ তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন তৈমুর। পরে দলের নির্দেশে ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।
এবার প্রার্থী হওয়ার পর তৈমুর বলেছিলেন, তার সঙ্গে দলের সব নেতৃবৃন্দ রয়েছেন।
স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা বলে আসছেন, বিএনপি দলীয় প্রতীক না নিয়ে কৌশলে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
এই সম্পর্কিত খবর