বলার ‘নতুন কিছু নেই’, তাই সংলাপে যাবে না সিপিবি

জোটসঙ্গী দল বাসদের পর সিপিবিও জানাল, তারা নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে যাবে না।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Jan 2022, 12:48 PM
Updated : 1 Jan 2022, 02:45 PM

না যাওয়ার ব্যাখ্যায় বাম দলটি বলেছে, গত দুই বার এই সংলাপে অংশ নেওয়ার পর তাদের ‘নতুন কিছু বলার নেই’ বলে এই সিদ্ধান্ত।

শনিবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংলাপে অংশগ্রহণের বিষয়ে অপরাগতা জানিয়ে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

বাম গণতান্দ্রিক জোটভুক্ত সিপিবি ও বাসদ ছাড়াও বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংলাপে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে জানিয়েছে।

ইসি নিয়োগে মতবিনিময়ের জন্য বঙ্গভবনে আগামী সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় সিপিবির সঙ্গে সংলাপের সময়সূচি নির্ধারণ করা ছিল।

রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, “সিপিবি নির্বাচনের আমূল সংস্কারের জন্য সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বসহ ৫৩টি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের সুপারিশমালা ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে আপনার কাছে প্রদান করেছিল।

“এই অবস্থায় হুবহু একই আলোচ্য সূচিতে ও একই প্রকরণের আরেকটি সংলাপে যোগ দিয়ে সিপিবির নতুন কোনো কথা বলার নেই। সেকারণে তাতে যোগদানের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছি না।”

সংলাপে আমন্ত্রণ জানানোয় সিপিবি নেতাদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, “নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন থাকা একান্তভাবে প্রয়োজন।

“কিন্তু অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সেটাই যথেষ্ট নয়। কমিশনের মৌলিক গলদ দূর করতে না পারলে অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে না।”

চিঠিতে অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য সংবিধানসম্মতভাবে একটি নির্বাচন কমিশন মনোনীত করা জরুরি জানিয়ে দ্রুত আইন প্রণয়নের তাগিদ দেওয়া হয়।

“আপনার কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ আপনি জাতীয় সংসদকে জরুরি বার্তা পাঠিয়ে আগামী মাসের ভেতরে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন করে তা স্বাক্ষরের জন্য আপনার কাছে পাঠাতে বলুন।

“তাহলে নির্বাচন কমিশন মনোনয়নের আগে সে বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আপনার বৈঠকের প্রয়োজন পড়বে না।”

সাংবিধানিক সংস্থা ইসির সদস্য নিয়োগে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও কোনো আইন না হওয়ায় প্রতিবারই রাজনৈতিক অঙ্গনে মতভেদ তৈরি হয়। জটিলতা এড়াতে গত দুবার সার্চ কমিটির ব্যবস্থা হলেও বিতর্ক থামেনি।

মো. জিল্লুর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাকালে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে ইসি নিয়োগ দেওয়ার পর আবদুল হামিদও সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আসছেন।

কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসির মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। তার মধ্যেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে রাষ্ট্রপতিকে।

সার্চ কমিটির মাধ্যমে তা গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ২০ ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন।

আরও পড়ুন